এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যারা নাগরিকত্ব সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, তাদের বাংলাদেশী বলে মন্তব্য হেভিওয়েট বিজেপি নেতার, জোর বিতর্ক

যারা নাগরিকত্ব সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, তাদের বাংলাদেশী বলে মন্তব্য হেভিওয়েট বিজেপি নেতার, জোর বিতর্ক


 

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী আইন ইতিমধ্যেই লাগু হয়েছে সারাদেশে। যার ফলে সেই আইনের বিরোধিতা করে বিজেপি দেশের মানুষদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বলে দাবি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই এই নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন তিনি। বাংলায় যে তিনি এনআরসি হতে দেবেন না, সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সমাজের বিশিষ্টজনদের নিয়ে পদযাত্রা করে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় ভারতীয় জনতা পার্টিও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে এই বিরোধিতা কেন! তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভুল বোঝানোরও অভিযোগ তুললেন তিনি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর গড়বেতায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। আর সেখানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।

বাংলার এই বিজেপি নেতা বলেন, “বাংলাদেশ থেকে হিন্দু শরণার্থীদের শুধু ঘোষণা করলেই মিলবে নাগরিকত্ব। যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের খুঁজে বের করে আবার বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যারা নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানোর নামে ট্রেনে, বাসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারী। তারা তৃণমূলের ভোটব্যাংক। তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই দিদিমণি এত লাফালাফি করছেন। প্রশাসনিক কর্তাদের পাশে বসিয়ে মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছেন। এই আইন আটকে দেওয়ার ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীর নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত জ্বলতে শুরু করেছিল। বিশেষত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এক সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ট্রেন-বাস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই আন্দোলন গণতান্ত্রিক ভাবে হয়, তার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই আন্দোলন করা হয়। তবে এবার ভয়াবহ আন্দোলন করা মানুষদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বলে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।

যা নিঃসন্দেহে বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে একাংশ। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মিথ্যে কথা বোঝাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির সায়ন্তন বসু। সব মিলিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় ভয়াবহ বিক্ষোভে জড়িতদের অনুপ্রবেশকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “ভোটব্যাঙ্ক” বলে দাবি করে বিতর্ক বাড়ালেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!