এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > পূর্ব-মেদিনীপুরের মত শ্রীবৃদ্ধি বাংলা কেন গোটা ভারতবর্ষে নেই: শুভেন্দু অধিকারী

পূর্ব-মেদিনীপুরের মত শ্রীবৃদ্ধি বাংলা কেন গোটা ভারতবর্ষে নেই: শুভেন্দু অধিকারী


এদিন তমলুকের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে শিক্ষকদিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বললেন,’শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, প্রশাসক ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত চেষ্টায় শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ব মেদিনীপুর যেভাবে শ্রীবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে, সেই ব্যাপ্তি শুধু বাংলা কেন, ভারতবর্ষের অন্য কোথাও নেই।’

জানালেন,পূর্ব মেদিনীপুরের শিক্ষার পরিবেশ ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে। তার প্রমাণ দিতে তিনি তুলে ধরলেন টানা ছ বছর ধরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে শতাংশের বিচারে রাজ্যের অন্যান্য জেলাকে ছাপিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের শীর্ষে পৌছানোর কথা। মাধ্যমিক ৯৫% ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয় এই জেলা থেকে এটাও একটা নজর কাড়া রেকর্ড এমনটাই বললেন মন্ত্রী।

সঙ্গে এটাও জানালেন,পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপূত্র হিসাবে তিনি অত্যন্ত গর্বিত। এর সঙ্গে জুড়ে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে আরো জানান,পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুলগুলো পরিকাঠামো গত দিক থেকে এবং পরিবেশের বিচারে অন্যান্য জেলাগুলো থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের শিক্ষা পরিকাঠামো সহ সামগ্রিক উন্নয়নকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন।

এই জেলার এতো উন্নয়নের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানালেন এদিন। তাঁর কথায়,তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরই পূর্ব মেদিনীপুর রাজ্যে সেরা জেলা হিসাবে উঠে এসেছে। উন্নয়ণ এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থায়।

জানালেন,মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক প্রয়াসেই তমলুকের নিমতৌড়ির পূর্ব শ্রীকৃষ্ণপুরে শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার নামাঙ্কিত সরকারি মহিলা কলেজ, নন্দীগ্রামের প্রত্যন্ত সুবদি কলেজ, জাতীয় শিক্ষক নির্মল মাইতির উদ্যোগে পাঁশকুড়ার মাইসোরায় রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। জেলায় ২৯ টি জুনিয়র হাই স্কুলকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পরিনত করা গিয়েছে তাও নেত্রীরই উদ্যোগে। জেলায় গড়ে উঠেছে একাধিক কারিগরি বিদ্যালয়,চালু হয়েছে তমলুক হাসপাতালে নার্সিং ট্রেনিং।

শুধু তাই নয়,পাঁশকুড়া,কাঁথি এবং এগরায় একটি করে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালু হতে চলেছে।সম্প্রতি রাজ্য ক্যাবিনেটে তা অনুমোদিতও হয়ে গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে তমলুকে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার অনুমোদনও। আর সবথেকে বড়  খবর হল,মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় নামে পূর্ব মেদিনীপুরের বুকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির বিল ইতিমধ্যে পাশ হয়ে গিয়েছে। এরজন্য হলদিয়া কর্তৃপক্ষ মহিষাদলের বাসুলিয়া মৌজায় ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ২০ একর জমিও দান করেছে। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে শিলান্যাস করার কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীর।

আপাতত মহিষাদল রাজ কলেজে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু করা হবে। এদিন তিনি স্কুলে স্কুলে শিক্ষকদের স্বামীজির শিকাগো বক্তৃতার ১২৫বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠান করারও পরামর্শ দেন পরিবহন মন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের এমন উন্নয়নের খতিয়ানই তুলে ধরলেন তিনি এদিন জেলাবাসীদের সামনে।

উল্লেখ্য,এদিন পূর্ব মেদিনপুর জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সমবেতভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে পরিবহনমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন তমলুকের সংসদ সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী, কাঁথির সংসদ সদস্য শিশির অধিকারী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানস দাস এবং বিশিষ্ট শিক্ষক ও অধ্যাপকরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন সুতাহাটার বাবুপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুল ‘শিক্ষার্থী দিবস’ পালন করা হয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে। অনুষ্ঠানে স্কুলের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। দেওয়া হয় নির্মল শ্রেনীকক্ষ পুরস্কার। ওদিকে,শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে এক অভিনব উদ্যোগের নজির রেখে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া অরুণচন্দ্র হাই স্কুলে পড়ুয়াদের ইলিশ মাছের ভোজ খাওয়ানো হয়। সুতাহাটা দোরো কৃষ্ণনগর বাণীতীর্থ বালিকা বিদ্যালয়ে এদিন ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন গৃহ নির্মানের সূচনাও করা হয় জেলা পরিষদ সদস্য আনন্দময় অধিকারীর উদ্যোগে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!