এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > রাফায়েল তদন্ত আবার শুরু বিদেশের মাটিতে, তীব্র অস্বস্তিতে মোদী সরকার

রাফায়েল তদন্ত আবার শুরু বিদেশের মাটিতে, তীব্র অস্বস্তিতে মোদী সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিনের বিরতি থাকার পর আবারও রাফায়েল তদন্ত সংবাদ শিরোনামে উঠে এলো। কয়েক বছর আগে ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে রাফায়েল চুক্তি হয়। কিন্তু এই চুক্তি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। শুরু হয় রাফায়েল কেলেঙ্কারির তদন্ত। কিন্তু একসময় ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় একদিকে যেমন, ঠিক সেভাবেই এদেশেও সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয় রাফায়েল তদন্তের প্রয়োজন নেই। কারণ যথেষ্ট স্বচ্ছতা বজায় আছে বিমান কেনাবেচায়। আর তারপরেই মামলা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আবারও ফরাসি আইন বিভাগের পক্ষ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে যথেষ্ট দুর্নীতি এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে মামলা আবার শুরু হচ্ছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, ফরাসি প্রসিকিউশন সার্ভিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা রাফাল যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করার কথা স্বীকার করেছে। আগেও ফ্রান্সের পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের পক্ষ থেকে অপরাধ শাখার প্রাক্তন প্রধান ইলাইন হোলিট এই তদন্ত শুরু করেছিলেন কিন্তু মাঝপথেই তা বন্ধ করে দেন। ইলাইনের বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। সেসময় অবশ্য তিনি বলেছিলেন, ফ্রান্সের স্বার্থের কথা ভেবে এবং তদানীন্তন সংস্থাগুলির কথা চিন্তা ভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার পিএনএফের প্রধান পদে এসেছেন জিন ফ্রান্সোইস বোহনার্ট। তিনি ক্ষমতায় আসার পরেই নতুন করে তদন্ত শুরু হচ্ছে রাফাল চুক্তি নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রথম থেকে এদেশের বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়ে আসছে, বর্তমান মোদি সরকার ভারতের জন্য 1670 কোটি টাকা দিয়ে যে রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনেছে তাতে যথেষ্ট অস্বচ্ছতা এবং সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কিন্তু ইউপিএ সরকারের আমলে এই রাফায়েলের দাম উঠেছিল 526 কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন গুণ দামে মোদি সরকার রাফায়েল বিমান কিনেছে। একই সাথে কংগ্রেস দাবি জানায়, যে দামে মোদি সরকার বিমান কিনেছে সেই দামে প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তিও ভারত পেয়ে যেত। পরবর্তীতে ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতীয় যুদ্ধবিমান তৈরিতে কাজে লাগানো যেত। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের সমস্ত কথা ধামাচাপা পড়ে যায় সুপ্রিম কোর্টের একটি মাত্র সিদ্ধান্তে।

শীর্ষ আদালত থেকে 2019 এর নভেম্বরে রাফায়েল চুক্তিতে কোন অস্বচ্ছতা নেই, কোনও অসামঞ্জস্যতা নেই বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নতুন করে ফরাসি সরকার রাফায়েল চুক্তির তদন্ত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু এদেশেও বিরোধীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। যথারীতি এই মুহূর্তে মোদি সরকার কিন্তু যথেষ্ট চাপে বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফায়েল চুক্তি নিয়ে যদি কোন অস্বচ্ছতা প্রকাশ পায়, তাহলে বড়োসড়ো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। আপাতত দেখার, ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে এই তদন্ত চালিয়ে নতুন কোন তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!