এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাহুলের পর এবার পালা দিলীপের? একুশের আগে মুকুলের হাতে আরও বড় ক্ষমতা? জল্পনা শুরু বিজেপিতে!

রাহুলের পর এবার পালা দিলীপের? একুশের আগে মুকুলের হাতে আরও বড় ক্ষমতা? জল্পনা শুরু বিজেপিতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ক্রমশ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় এবং তার অনুগামীদের। কিছুদিন আগেই মুকুল রায়কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপির দীর্ঘদিনকার সৈনিক রাহুল সিনহাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা অনুপম হাজরাকে। যার পড়ে রাহুল সিনহা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

আর এবার সেই মুকুল রায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হাওয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডানা ছাটা হতে পারে বলে নানা মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে। অনেকে বলছেন, বর্তমান সময় দিলীপ ঘোষকে সরালে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষকে সভাপতি রেখে তার ওপর আরও বেশি করে চাপ সৃষ্টি করতে একজন কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হতে পারে। আর দিলীপ ঘোষের উপর এই চাপ সৃষ্টি করতে প্রধান মাস্টারমাইন্ড যে মুকুল রায়, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে জায়গা দেওয়া হয়েছে অমিতাভ চক্রবর্তীকে। যার ফলে দিলীপবাবুর অনুগামীরা অনেকটাই ক্ষুব্ধ। তাই এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, তাতে বিজেপির ভেতরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কি সত্যি সত্যিই বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে! নাকি তাকে রেখে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কাউকে কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক দেব সাহা ফেসবুক একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, “বর্গী দেশের এক উজির বারবার পশ্চিমবঙ্গে আঘাত আনছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সঙ্গে আছে কিছু বর্গী পেয়াদা।” স্বাভাবিকভাবেই দিলীপবাবুর আপ্ত সহায়কের এই ধরনের পোস্ট আরও গুঞ্জন বানিয়ে দিয়েছে। একাংশের প্রশ্ন, দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সচিব বর্গী দেশের উজির এবং তার পেয়াদা বলতে ঠিক কাকে বোঝালেন! অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করেছে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলকে না ভাঙলে জয় পাওয়া কার্যত অসম্ভব।

আর তৃণমূলকে ভাঙ্গার এই কাজ যে সূক্ষ্মভাবে একমাত্র করতে পারেন মুকুল রায়, তা বুঝতে পেরেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায় এবং তার অনুগামীদের আরও বেশি করে দায়িত্ব দিতে শুরু করেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এমত পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার দিলীপ ঘোষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তবে এই সমস্ত কিছু এখনও পর্যন্ত জল্পনার পর্যায় রয়েছে। তবে যদি এই জল্পনা সত্যি হয়, তাহলে আগামীদিনে মুকুল রায় যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রধান সেনাপতি হতে চলেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!