এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী , এবার ভোটে টাইট পাবে তৃণমূল! আশাবাদী দিলীপ !

রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী , এবার ভোটে টাইট পাবে তৃণমূল! আশাবাদী দিলীপ !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুলিশের ওপর যে আর ভরসা করা যাচ্ছে না, এই রাজ্যের প্রশাসন যে পুলিশের সবাইকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছে, সেটা আজকে নতুন করে বলতে হবে না। তৃণমূলের নেতারা যা বলছেন, পুলিশ তাই করছে। সন্দেশখালি আরও সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের পুলিশের দ্বারা যে শান্তিপূর্ণ কিছু করা সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে একশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই খবর সকলেই জেনে গিয়েছেন। তবে আজ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে যা বললেন, তাতে আরও আশাবাদী গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা। তারা বলছেন, পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানোর দিন শেষ। এবার যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় যে ভোট হবে, সেই ভোটে গায়ের জোরে নয়, মানুষের সমর্থন নিয়ে জিতে দেখাক তৃণমূল কংগ্রেস! তাহলেই বোঝা যাবে তাদের জনপ্রিয়তা!

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের পুলিশের ওপর যে কারওর কোনো ভরসা নেই, তা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আর সেই কারণে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই বাংলায় তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিচ্ছে। অর্থাৎ মানুষের মনে ভয় কমাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই বিষয় নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই রাজ্যের পুলিশের ওপর কারওর ভরসা নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া কোনোমতেই শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না। তাই ভোটের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে মিটিং মিছিল সব কিছু ঠিক মত করা যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে প্রচার পর্যন্ত করতে দেওয়া হবে না।”

একাংশের মতে, সঠিক কথাটাই বলেছেন দিলীপ ঘোষ। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এই রাজ্যে কোনো স্থানীয় ভোট অর্থাৎ পঞ্চায়েত কিংবা পৌরসভায় প্রচার করতে দেওয়া তো দূরের কথা, বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে অনেক সময় বের হতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না। সব জায়গায় থাকে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হুমকি। আর তাদেরকে প্রশ্রয় দেয় এই রাজ্যের প্রশাসন। তাই লোকসভা নির্বাচনে যদি মানুষ তাদের ভোট দিতে পারে, তাহলে এই সরকারের বিদায় নিশ্চিত। সেদিক থেকে মানুষের মনে ভয় দূর করাই প্রধান কর্তব্য নির্বাচন কমিশনের। তাই পুলিশের ওপর ভরসা না রেখে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে লোকসভায় বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসব পালন করানোর পক্ষেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন বাংলার মানুষ অনেক সহ্য করেছে। কিন্তু এবার তারা এই তৃণমূলের সরকারের থেকে মুক্তি চাইছে। সন্দেশখালি পথ দেখিয়ে দিয়েছে যে, এই পুলিশের বিরুদ্ধে লড়ে বিচার আনতে গেলে গর্জে উঠতে হবে। তাই মানুষ এবার শুধু এই পুলিশি নির্যাতন বন্ধ হোক, সেটাই চাইছেন। সেদিক থেকে নির্বাচনের আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হলে সাধারণ মানুষের আর বিন্দুমাত্র ভয় থাকবে না। তারা আর কাউকে ভয় পাবে না। তারা মাথা উঁচু করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এতদিন যেটা কেড়ে নিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। স্বাভাবিকভাবেই গণতন্ত্রের উৎসবে হিংসা নয়, আক্ষরিক অর্থে ভোট উৎসবই এবার পালিত হবে পশ্চিমবঙ্গে। তবে সেখানে যদি কেউ বাড়াবাড়ি করতে আসে, তাহলে তাদের কি করে জব্দ করতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই সময় থাকতে থাকতেই গণতন্ত্র ধ্বংসের পথে না গিয়ে হিংসা বন্ধ করে পুলিশকে নিরপেক্ষ করে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামা উচিত ফ্যাসিস্ট তোলামূলের নেতাদের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!