এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের বিজেপিকে বাধা, মমতা পুলিশের লজ্জা নেই! আক্রান্ত গণতন্ত্র!

ফের বিজেপিকে বাধা, মমতা পুলিশের লজ্জা নেই! আক্রান্ত গণতন্ত্র!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সত্যিই এই রাজ্যের প্রশাসনের লজ্জা, ঘৃণা এবং বিবেক বলতে কিছু নেই। তাদের মেরুদন্ড নেই, বিরোধীদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার। মেরুদন্ড নেই, যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার। তাই তো সন্দেশখালির মত ঘটনা যখন সকলকে নাড়া দিয়েছে, তারপরেও এই প্রশাসন নিশ্চুপ। তারা আবার ঘুরিয়ে যারা অপরাধী, যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের হয়েই কথা বলছেন। ভাবা যায়! একটি সরকার কি করে সমস্ত কিছুকে অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র অপরাধীদের হয়ে দাঁড়াতে পারে?

এই প্রশ্ন তুলে যখন সন্দেশখালির মা-বোনেদের পাশে বারবার দাঁড়াতে গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল এবং তাদের নেতা নেত্রীরা, তখনই পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদালতে গিয়ে নিজেদের পক্ষে রায় নিয়ে এসেছে বিরোধীরা। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই নির্লজ্জ প্রশাসন লজ্জার মাথা খেয়ে বসে আছে। কেন এই কথা বলা হচ্ছে? বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই কথা বলা হচ্ছে, তার কারণ, আজকে কলকাতাতে যে ঘটনা ঘটলো, তারপর সত্যিই এই প্রশাসনকে নিয়ে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। কিন্তু কি এমন হয়েছে?

প্রসঙ্গত, বিরোধীদের সামান্য দাবি ছিল। তাদের দাবি ছিল যে, তারা একটু সন্দেশখালীর মা-বোনদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেই জন্য বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখানেও প্রশাসনের সেই এক যুক্তি। ১৪৪ ধারার যুক্তিকে সামনে রেখে প্রশাসন কলকাতাতেই বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রীদের আটকে দিল। নির্লজ্জ পুলিশ প্রমাণ করে দিল যে, তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভয় পায়। ওপর তলা থেকে তাদের যা বলে দেওয়া হয়েছে, তারা সেই মতই চলছে। শুধু কি তাই? এত আটকানোর পরেও যখন আদালত বারবার এই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখনও তাদের ঘুম ভাঙছে না।

আজকে যদি মহিলা মোর্চাকে প্রশাসন সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিত এবং নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দিত, তাহলে কি খুব অসুবিধা হত? বরঞ্চ এই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই তো কোনো প্রশ্ন তুলতে পারত না বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধীদের হাতে এত হাতিয়ার তুলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভাবছেন যে, তিনি এভাবেই সবকিছুকে নিজের হাতে তালুতে নিয়ে আসবেন! যদি তিনি তাই ভেবে থাকেন, তাহলে কিন্তু একটা বড় ভুল হয়ে যাচ্ছে শাসকদলের কাছে। যত তারা আটকাবে, ততই বিরোধীদের প্রতিবাদ মানুষের কানে পৌঁছবে। আর প্রমাণ হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যে বিজেপিকে দেখে ভয় পাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে নবান্ন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং এই রাজ্যের সরকার সাধারণ মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলার মত ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তারা সব জায়গায় পুলিশকে ব্যবহার করে ভাবছে, বাজিমাত করার চেষ্টা করবে। সেই কারণে সন্দেশখালীর মত এত ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও বিরোধীদের সেই এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না। যে তৃণমূল বিগত বাম আমল নিয়ে এত বড় বড় প্রশ্ন তোলে, সেই তৃণমূলের আমলে এত ফ্যাসিস্ট নীতি কেন? এই প্রশ্ন কিন্তু মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজ্যের বিশিষ্ট জনেদের মধ্যে। তাদের একটাই বক্তব্য, কিসের এত ভয় বিরোধী শক্তিকে! কিসের এত ভয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে?

কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদারকেও এই সন্দেশখালি যাওয়াতে বাধাদান করা হয়েছে। কিন্তু তারপর শুভেন্দু অধিকারী আদালত থেকে রায় নিয়ে এসে মাথা উঁচু করে সন্দেশখালিতে পৌঁছে গিয়েছেন। ঠাস ঠাস করে আদালতের পক্ষ থেকে থাপ্পর মারা হয়েছে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকারের গালে। কিন্তু আজকে এত কিছু থেকে শিক্ষা না নিয়েও এই রাজ্যের প্রশাসন যেভাবে কলকাতাতেই মহিলা মোর্চাকে আটকে দিল, তাতে আরও একটা জিনিস প্রমাণিত হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে গণতন্ত্রের লেশমাত্র রাখতে চাইছে না ফ্যাসিস্ট তোলামূলিরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!