এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজনৈতিক ভেদাভেদের ঊর্দ্ধে উঠে মানবিকতার নজির গড়লেন তৃণমূল নেতা, প্রশংসা সর্বত্র

রাজনৈতিক ভেদাভেদের ঊর্দ্ধে উঠে মানবিকতার নজির গড়লেন তৃণমূল নেতা, প্রশংসা সর্বত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টরাজনীতির ময়দানে তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের শত্রু বলেই পরিচিত। নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক হত্যা ও সংঘর্ষে নাম জড়িয়েছে এই দুই পক্ষের। কিন্তু কখনো কখনো সমাজের বুকে এমন উদাহরণও তৈরি হয়ে যায় যা অত্যন্ত গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এই রাজনীতিতেও এরকমই উদাহরণ তৈরি হয়েছে সম্প্রতি।

করোনা মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই শিখিয়েছে আর সে কথাই আরো স্পষ্ট হয়ে উঠল বর্ধমান জেলায়। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের এক বিজেপি কর্মীর বাবার মৃত্যুতে পাশে এসে দাঁড়ালো স্থানীয় তৃণমূল নেতা। প্রশ্ন উঠবে, বিজেপি কর্মীর বাবার মৃত্যুতে তাঁর দলের লোকেরা কেন এলেন না?

উত্তরটি হলো ওই বিজেপি কর্মী নিজে করোনা আক্রান্ত। তাই দল থেকে শুরু করে গ্রামের সবাই তাঁর কাছে আসতে ভয় পেয়েছে। আর সেখানেই ঐ বিজেপি কর্মী পাশে পায়েছেন তৃণমূলকে। এই ঘটনার মাধ্যমে সৌজন্যের নজির গড়ে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাবাসপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দা এক বিজেপি কর্মী করোনা আক্রান্ত হন। নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে শুক্রবার ওই বিজেপি কর্মীর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি মৃতের ছেলে যেহেতু করোনা আক্রান্ত, তাই গ্রামবাসী থেকে শুরু করে দলের কর্মীরা কেউই তার পাশে দাঁড়াননি। সে সময় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লালু হেমব্রম এই খবর পান এবং তিনি তৎপরতার সঙ্গে নিজে উদ্যোগ নিয়ে ওই বিজেপি কর্মীর বাবার দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই ওই বিজেপি কর্মী ও তাঁর পরিবার সমস্ত রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে গিয়ে উপকারী তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিজেপি কর্মী নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর বাবা যখন মারা যায় সেই বিপদের সময় দলীয় কর্মীদের পাশে থাকার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ পাশে আসেননি তাঁর। বরং সেসময় পঞ্চায়েতের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করায় গ্রামের প্রধান, উপপ্রধান সহ অন্য পদাধিকারীরা এগিয়ে আসেন এবং তাঁরাই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা রাজনীতির ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাকালে মানবিকতার নজির হয়ে উঠবে এই ঘটনাটি।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!