এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে এবার জায়গা হারাচ্ছেন চার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা

রাজ্যে এবার জায়গা হারাচ্ছেন চার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা

নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত। কিন্তু তার মধ্যেই এসে গেল 2020 সাল। সামনের বছর 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের লড়াই। কিন্তু তার আগেই এবছর রাজ্যজুড়ে পুরসভার ভোট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে এবার রাজ্যের অর্ধেক জুড়ে পুরসভার ভোট হতে চলেছে। আর এই পুরভোটের মাধ্যমেই আগামী বিধানসভার ছবি কিছুটা হলেও পরিস্ফুট হবে। তাই এই পুরভোটকে সেমিফাইনাল ধরে নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি এবার উঠে পড়ে লাগল।

সামনেই পুরভোট আর তাই নিয়ে এবার সাজো সাজো রব রাজ্যের যুযুধান শিবিরগুলির মধ্যে। ইতিমধ্যে রাজ্যের 93 টি পুরসভার সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ওয়ার্ডের সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করল। অবশ্য সবার চিন্তা ছিল কলকাতা পুরসভাকে ঘিরে। সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ হতে দেখা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন 1,3,6 ফর্মুলাতে সংরক্ষণ রেখেছে। নির্বাচন কমিশনের তালিকা বেরোনো মাত্রই প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক ছক সাজাতে শুরু করেছে।

কলকাতা পুরসভার 144 টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সংরক্ষণ তালিকা অনুযায়ী আটটি ওয়ার্ড তপশিলি জাতি ও তপশিলি মহিলা জাতির সংরক্ষণ এর আওতায় পড়েছে। অন্যদিকে 33, 78 এবং 127 নম্বর টি তপশিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়াও 45 নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষণ তালিকা বেরোনোর পরে দেখা যাচ্ছে 4 বর্তমান মেয়র পারিষদ তাঁদের আসন হারিয়েছেন। ট্যাংরার 58 নম্বর ওয়ার্ডটি এবার তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তার ফলে সেখানে দাঁড়াতে পারবেন না মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। এর আগে তিনি 30 নম্বর ওয়ার্ড থেকেও জিতেছিলেন। কিন্তু সেটিও এবার হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। সেটি সংরক্ষিত হয়েছে সাধারণ মহিলাদের জন্য।

অন্যদিকে 90 নম্বর ওয়ার্ডটিতে আগে প্রার্থী ছিলেন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এবার তিনি সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন। ঠিক একইভাবে 93 ও 96 ওয়ার্ড থেকে এবার আর দাঁড়াতে পারবেন না দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর রতন দে এবং দেবব্রত মজুমদার। কলকাতার 107 নম্বর ওয়ার্ডটিও এবার হয়ে গেছে সংরক্ষিত। সেখানে দাঁড়াতেন সুশান্ত কুমার ঘোষ। এর সাথে 143 নম্বরের নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য্য তাঁর জায়গা হারালেন সংরক্ষণের কোপে পড়ে। তবে চার মেয়র পারিষদ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সবসময় দলের পাশে ও দলের নির্দেশ মেনে চলেছি।’ আর তাই দল যা নির্দেশ দেবে ওনারা তাই মেনে নেবেন। তবে সূত্রের খবর, এই ওয়ার্ডগুলিতে মেয়র পারিষদ অনুগামীদের দাঁড় করানো হবে। সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডে জিতে আসার পুরো দায়িত্বটাই তাঁদের নিতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষনের যে তালিকা বেরিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে 33,78 ও 127 নম্বর ওয়ার্ডটি তপশিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে 58, 107,110, 141 ও 142 নম্বর ওয়ার্ডটি। এছাড়া যেসব ওয়ার্ড সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলি হল – ৩, ৬, ৯, ১২, ১৫, ১৮, ২১, ২৪, ২৭, ৩০, ৩৪, ৩৭, ৪০, ৪৩, ৪৬, ৪৯, ৫২, ৫৫, ৫৯, ৬২, ৬৫, ৬৮, ৭১, ৭৪, ৭৭, ৮১, ৮৪, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৬, ৯৯, ১০২, ১০৫, ১০৯, ১১৩, ১১৬, ১১৯, ১২২, ১২৫, ১২৯, ১৩২, ১৩৫, ১৩৮ ও ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড।

আপাতত সূত্রের খবর, সামনের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্যজুড়ে পুরভোট হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই এবার ভোটযুদ্ধে নামছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। এক্ষেত্রে বিজেপি যেমন বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোটের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বোঝাতে চাইছে, সেরকম তৃণমূলের পক্ষ থেকেও জনসংযোগের মাধ্যমে তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে চাইছে। এখনো পর্যন্ত বিজেপির কলকাতা পুরসভার ভোটে কারা নির্বাচনী লড়াই লড়বেন, তা এখনো জানা যায়নি।

তবে লোকসভার ফল বিচারে আপাতত পঞ্চাশটির মতো ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপির কাছে হেরে গেছে। তবে এক্ষেত্রে কলকাতায় 144 টি ওয়ার্ডের মধ্যে জেতার জন্য প্রয়োজন 73 টি আসনে জয়। বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সব্যসাচী দত্তকে দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জনসংযোগকে মাথায় নিয়ে তৃণমূল দলও পুরসভা ভোট জিততে নামছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘আরও নিবিড় জনসংযোগই লক্ষ্য। মানুষের পাশে, মানুষের কাছে থাকাই লক্ষ্য।’

পুরভোটের দামামা বেজে উঠতেই আগামী দিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের রূপরেখা সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিজেপি, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভা ভোটের পর থেকে এ রাজ্যের মসনদ দখল করতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তবে রাজ্যের ভার কার হাতে যাবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে 2021 সাল পর্যন্ত। তবে তার আগে রাজ্যজুড়ে পুরভোটের ওপরে বিধানসভা নির্বাচনের কিছুটা ছাপ পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আগামী দিনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যে দ্বিতীয়বার রাজ্য বিজেপি সভাপতি করা হলো দিলীপ ঘোষকে। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!