এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু-রাজীবকে নিয়ে মুখ খুললেন মমতা! জেনে নিন

শুভেন্দু-রাজীবকে নিয়ে মুখ খুললেন মমতা! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর পর তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগ করেছেন। আগামী দিনে আরও অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা দলত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে একের পর এক বিধায়ক যখন দলত্যাগ করছেন, তখন রীতিমত চাপে পড়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এতদিন দলবদলকারীদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেভাবে কোনো বার্তা না দিলেও, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করার পরেই এবার সেই দলবদলুদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

যেখানে দলত্যাগীদের “চোর” “ডাকাত” বলে আক্রমণ করতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, আজ রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই গত 10 বছরে রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে দেখা যায় তাকে। আর তারপরেই দলবদলুদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “কয়েকটা চোর-ডাকাত হঠাৎ করে প্রচুর টাকা করেছে। ওগুলো রক্ষা করবার জন্য গোবর্ধনের কাছে জমা রাখতে যাচ্ছে। বিজেপি ওয়াশিং মেশিনে কালো হয়ে যাচ্ছে। সাদা হয়ে ফিরবে। চিন্তার কোনো কারণ নেই। ওদের টিকিট দিতাম না। খারাপ কাজ করলে টিকিট দেব কেন বলুন! সেই জায়গায় নতুনদের দিলে মানুষ খুশি হবে।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, যারা দলবদল করছেন, তারা সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিলেন।

তবে অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন চাপে পড়েই এই ধরনের মন্তব্য করতে বাধ্য হলেন। কেননা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীর যথেষ্ট প্রভাব ছিল। এমনকি তারা বিজেপিতে যোগদান করার পর তৃণমূল অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত নেতাদের যে দল একফোঁটাও গুরুত্ব দেয় না, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী। এক্ষেত্রে তাদের দুর্নীতির থেকে বাঁচার জন্যই তারা বিজেপিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জনসমক্ষে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে তৃণমূলে থাকলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়েই যে রাজনীতি করতে হবে, সেই কথা শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে একদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়া এবং অন্যদিকে দলত্যাগীদের কড়া বার্তা দেওয়ার কথা উঠে এল। একের পর এক নেতা যখন দলত্যাগ করতে শুরু করেছেন, তখন তৃণমূলের নীচুতলায় এমনিতেই দলের সাফল্য নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তাই এই পরিস্থিতিতে সেই দলত্যাগীদের দুর্নীতি রয়েছে বলে তাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে “সততার অপর নাম তৃণমূল কংগ্রেস” এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিতে চাইলেন। এক্ষেত্রে যারা দল পরিবর্তন করছেন, তাদের জন্য যে তৃণমূলের কোনো ক্ষতি হবে না, তাও নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

তবে মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথাই বলুন না কেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে যাওয়ার পর তৃণমূলের চাপ যে কিছুটা হলেও বাড়ছে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!