পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ‘ভরাডুবি’ নিয়ে বড়সড় স্বীকারোক্তি রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রীর রাজ্য May 26, 2018 “দল আর জনগনের মধ্যে সেতু হল সরকার। সেতু ঠিক থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দলের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ল তা নিয়ে আমরা পর্যালোচনা শুরু করেছি।” এমনটাই জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সার্কিট হাউজে ভোটের ফলাফল বের হওয়ার ৭ দিনের মাথায় রিভিউ মিটিং বসালো মা মাটি মানুষের সরকার। আলোচনা সভায় শোভন চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও হাজির ছিলেন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো,বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো,দীনেন রায়,প্রদ্যোৎ ঘোষ,উওরা সিংহ হাজরা। শোভনবাবু স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন যে ভোটারদের কাছে ঠিকমতমতো দল পৌছাতে পারেনি, তারই প্রভাব পড়েছে ব্যালটবক্সে। নয়তো তৃণমূলের শক্তিঘাঁটি জঙ্গলমহল এভাবে মুখ ফিরিয়ে থাকতো না তাঁদের থেকে। পঞ্চায়েতে ভোটে বেশ কিছু এলাকায় এভাবে মুখ থুবড়ে পড়তো না তৃণমূল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিন বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উওরে সরব হতে দেখা গেলো শোভনবাবুকে। তিনি আরো জানান যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্বপ্ন এ রাজ্যে যেন বিদ্যুৎ এর আলোর অভাব না থাকে। সেই অভাব পূরণ করতেই তাঁরা নজর রেখেছেন সর্বত্রই। এর সূত্র ধরেই আনা হচ্ছে সৌভাগ্য,আইপিডিএস,দীনদয়াল উপধ্যায় প্রকল্প। কোনোভাবেই যেন দলের কারোর ভিতর স্বার্থরক্ষার ব্যাপার না থাকে সেটাও ছিল এই মিটিং এর আলোচনার অংশ। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে জেলায় কয়েক কোটি টাকার বিদ্যুতের বিল বাকি পড়ে আছে সেগুলো আদায় করা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শোভনবাবু। জানান যে, বাম আমলে ভোটের আগে বেশ কিছু মানুষকে বিনা টাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিলো তাঁদের বিদ্যুৎ এর বিল দিতে হবে। তাঁদের বেনিয়মে করা এই ফিরিকের জন্য মূল্য চোকাতে হচ্ছে এখন রাজ্য সরকারকে। তিনি আরো জানান যে, এ বিষয়টি তাঁর আওতার বাইর। তবে আশ্বস্ত করে বলেন যে কোনো না কোন সমাধানের পথ নিশ্চয়ই বেরোবে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর এমনটাই বলছে। আপনার মতামত জানান -