এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের সমস্যা কতটা বাড়াতে পারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

রাজ্যের সমস্যা কতটা বাড়াতে পারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই রাজ্যে বারবার অভিযোগ উঠেছে ভোট পরবর্তী হিংসার। বিশেষ করে বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ বারবার তোলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের মারধর, হেনস্থা, লুটপাট, এমনকি খুন পর্যন্ত করা হয়েছে। মহিলারাও অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাননি। যদিও তৃণমূল এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে, এবার রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টটিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। রাজ্যে চলছে শাসকের আইন। নির্বাচন কমিশনের ৫০ পাতার এই রিপোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে একেরপর এক অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যের পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে ঘিরেও। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে ভিন রাজ্যে ফাস্ট ট্রাক কোর্ট গঠনের নির্দেশ, এছাড়া সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই রিপোর্টে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় ফেলা হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উদয়ন গুহ, শেখ সুফিয়ান, শওকত মোল্লা সহ বহু নেতা। এখন প্রশ্ন উঠেছে, মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টে কতটা সমস্যায় পড়তে পারে তৃণমূল? প্রসঙ্গত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলাকে বদনাম করতেই এই ধরনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তথ্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এমনকি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তৃণমূল, এমন একটা সম্ভাবনাও আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন যে, মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট রাজ্যকে বড়সড় বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এদিকে রাজ্যপাল রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন বারবার। এই রিপোর্ট আসার পরেই গতকাল দিল্লি রওনা হয়েছেন তিনি। গীতার বাণী টুইট করে রাজ্যপালের এই দিল্লি যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। দিল্লিতে গিয়ে তাঁর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে রাজ্যের। এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আবার, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে সামনে রেখে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ পর্যন্ত করা হতে পারে বলে, মনে করছেন অনেকে। মনে রাখা দরকার, ইতিপূর্বে ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিজের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। এবার রাজ্যপালের হঠাৎ করে দিল্লি যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, ভোটে জয়লাভ করার পর গত দুমাস ধরে তৃণমূল যা যা করেছে, তার সব কিছু মানুষের সামনে চলে এসেছে। এটা একটা ভুয়া সরকার। এরপর এসেছে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট। সবকিছু মিলিয়ে সরকারের দিন ঘনিয়ে আসছে। তাঁর বিশ্বাস, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মানুষকে আর অপেক্ষা করতে হবে না। নিজেদের পাপ কাজের কারণেই মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে এই সরকার।

মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে, এটাও যথেষ্ট অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে রাজ্যের কাছে। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর বীরভূম জেলায় বহু সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। এই জেলা থেকে প্রায় ৩১৪ টি অভিযোগ করা হয়েছে। এখানে তিন জন তৃণমূল নেতার নাম উঠে এসেছে।

যাদের মধ্যে দুজন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। যদিও বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন যে, নির্বাচনের পর বীরভূম জেলায় সন্ত্রাসের ঘটনা তেমন দেখা যায়নি। কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট এই দাবিকে একেবারেই নস্যাৎ করে দিচ্ছে। সব কিছু নিয়েই যথেষ্ট সমস্যা বাড়তে পারে তৃণমূলের, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!