অংকে খুব পাকা, তাই অঙ্ক কষেই রায়গঞ্জে দুই থেকে আড়াই লক্ষ ভোটে জেতার আশায় তৃণমূল প্রার্থী! উত্তরবঙ্গ রাজ্য April 25, 2019 বাম,বিজেপি কংগ্রেস এবং তৃণমূলের চতুর্মুখী লড়াইয়ে এবার জমে উঠেছিল রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। নির্বাচনী লড়াইয়ে একে অপরকে প্রচারে টেক্কা দিতে জোর প্রচার পর্বেও দেখা গিয়েছিল এই সমস্ত দলের প্রার্থীদের। এমনকি প্রচারপর্বে শামিল হয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হতেও দেখা গেছে শাসক থেকে বিরোধী সকলকেই। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় গত 18 ই এপ্রিল এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সমস্ত ধরের ভাগ্য স্ট্রংরুমে বন্দি রয়েছে। তবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কে রায়গঞ্জ লোকসভার প্রতিনিধিত্ব করবে, তা নিয়ে এখন থেকেই হিসাব নিকাশ করতে শুরু করে দিয়েছে এখানকার সমস্ত প্রার্থীরাই। কি হবে! কে শেষ হাসি হাসবে তা জানা যাবে আগামী 23 মে। তবে তার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে দাবি করা হচ্ছে এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র তারাই দখল করবে। বাণিজ্যের ছাত্র হিসেবে পরিচিত রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল এদিন একেবারে অংক কষে বলে দিলেন এবারের নির্বাচনে তিনিই জয়লাভ করেছেন। কিন্তু যে রায়গঞ্জ একদা কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির গড় বলে পরিচিত সেখানে এবার তৃণমূল কি শেষ হাসি হাসবে? এদিন এই প্রসঙ্গে কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আমি অঙ্কে খুব পাকা। ভোটের পর কর্মীদের নিয়ে বসে প্রাথমিক হিসেব কষেছি। আমার অংক বলছে গোয়ালপোখরে 50 হাজার, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জে 10 থেকে 15 হাজার, ইসলামপুরের 30 হাজার, চাকুলিয়ায় 20 হাজার, করনদিঘী এবং হেমতাবাদেও লিড হবে। বিরোধিদের যে সংগঠন নেই তা প্রমাণ হয়ে গেছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একই কথা বলেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অমল আচার্যও। অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দেখা গেছে এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকেও। এদিন তিনি বলেন, “বিগত পঞ্চায়েতে কিছু বুথে দুষ্কৃতী ঢুকে ছাপ্পা দিয়েছে। ভোটাররা অনেকেই তাদের ভোট দিতে পারেনি। তাই এবারে মানুষ ইভিএমে তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ, করনদিঘী এবং ইসলামপুরে আমাদের লিড থাকবে। এবারে আমরাই রায়গঞ্জ আসন দখল করব।” অন্যদিকে ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর হিসেব কষে দেখা গেছে যে আমরা জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি বলে জানান উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। কিন্তু গতবার এই রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জয়লাভ করলেও এবার কি তিনি তার জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, “আমাদের প্রার্থী গতবার জয়ী হয়েছিলেন। এবারও তার জয় কেউ আটকাতে পারবে না। তবে কোন বিধানসভায় কত পরিমান লিড পাব সেনিয়ে এখনই মন্তব্য করব না।” তবে নানা মুনির নানা মতের মাঝেও শেষ কথা বলবে আগামী 23 মে। তাই কে দখল করবে এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র! তার জন্য নজর রাখতেই হবে সেই 23 মের দিকেই। আপনার মতামত জানান -