এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিক্ষা দিয়েছে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা! এবার দ্রুত স্ট্র্যাটেজি বদলের পথে গেরুয়া শিবির?

শিক্ষা দিয়েছে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা! এবার দ্রুত স্ট্র্যাটেজি বদলের পথে গেরুয়া শিবির?

 

কথায় আছে, মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। বিগত দিনে একাধিক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষ করে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে মোদি সরকারের সফলতার উপাখ্যান করেই প্রচার করেছেন। তার সুফলও মিলেছে। তবে সম্প্রতি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় নির্বাচনে দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে স্থানীয় ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দিতে বাধ্য করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

তাই সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে সর্বভারতীয় ইস্যুগুলোকে কম গুরুত্ব দিয়ে মূলত স্থানীয় এলাকার উন্নয়নের ইস্যু নিয়েই বেশি বক্তব্য রাখতে শোনা গেল ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যা, জাতীয় স্তরের রাজনীতি ইত্যাদি ইস্যুতে নিজের সরকারের সাফল্যতা এবং কংগ্রেসের বিফলতা নিয়ে আলোচনা করলেও মূলত মানুষের মৌলিক চাহিদা, রাজ্যের উন্নয়ন, অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি প্রসঙ্গে 90 শতাংশ বক্তব্য রাখেন।

ইতিপূর্বেই প্রচারে এসে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ধারা 370 অবলুপ্তি, রাম মন্দির, তিন তালাক বিল ইত্যাদি ইস্যুতে বক্তব্য রাখলেও প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে তার অনুকরণ পাওয়া যায়নি। তিনি এদিনের সভায় রাজ্যের মানুষের স্থানীয় উন্নয়নে বেশি বক্তব্য রেখেছেন। এদিন নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, “2022 সালের মধ্যে সকলের জন্য আবাসন তৈরি হব। কৃষকদের রোজগার হবে দ্বিগুণ। এই প্রথম ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো সরকার তার নিজের 5 বছরের পূর্ণ কার্যকাল পার করল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই সাফল্যের পিছনে মূল কারণ হিসেবে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “কংগ্রেস কিংবা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সব সময় শুধু নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধির কথা ভেবেছে। আর যখন ইচ্ছা ঝাড়খণ্ডের সরকার ভাঙার খেলা করেছে। কিন্তু এই প্রথম ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ঝাড়খন্ডবাসীকে একটি স্থায়ী সরকার দিতে পেরেছে।” যার কারণ হিসেবে নরেন্দ্র মোদি নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, “কেন্দ্র এবং রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন এই ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছে। এই ডবল ইঞ্জিনের কারণেই নতুন রাজ্য ঝাড়খন্ড যুব বয়সে অনেক পরিণত হয়েছে।”

এছাড়াও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের কথা উঠে আসে নরেন্দ্র মোদির কন্ঠে। তিনি বলেন, “আইন সংশোধন নিয়ে গোটা দেশে আদিবাসী সম্প্রদায় আন্দোলন করছে। তাই ঝাড়খন্ডে বিজেপির আবার জয়যুক্ত হওয়া এখন সময়ের প্রয়োজন।” মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্য ঝাড়খন্ড এবং ঝাড়খণ্ডের মানুষ যে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করছে তা প্রকাশ অত্যন্ত জরুরী।

ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, বিগত দিনে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে কেন্দ্রের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার পারফরম্যান্স নিয়ে মানুষ আশ্বস্ত হলেও রাজ্যের ক্ষেত্রে লোকাল ইস্যু না থাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না দেশের সাধারণ মানুষ।

সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের বক্তব্যে শুধুমাত্র জাতীয় রাজনীতিতে জোর দেন, তাহলে মানুষের মোদি সরকারের পক্ষে সকলূ থাকলেও রাজ্যে তাদের গদি ঠিক থাকবে না। আর সেই কারণেই স্থানীয় ইস্যুর ওপর জোর দিয়ে বেশি প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!