এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > স্বাস্থ্যসাথী ভাঁওতা না সুবিধা? উত্তর খুঁজতে সুবিধাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা

স্বাস্থ্যসাথী ভাঁওতা না সুবিধা? উত্তর খুঁজতে সুবিধাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্প বর্তমানে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন রাজ্যের বহু মানুষ। যদিও বিরোধীরা ক্রমাগত রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তারমধ্যে বিরোধীদল গেরুয়া শিবির অন্যতম। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্যের বহু বিজেপি নেতার পরিবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর এবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করালেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর বাড়ির লোক।

তবে এ প্রসঙ্গে জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর ভাই এবং ভাইপোকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার যখন তাঁদেরকে সুযোগ দিচ্ছে, তাহলে তাঁরা সুবিধা নেবে না কেন? খুব স্বাভাবিকভাবেই পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতিপ্রিয় সিং মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা হলেও তা করা যায়নি। ফলস্বরূপ, এই ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদের। বিজেপি নেতারা বারবার তৃণমূলের রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পকে ভাঁওতা বলে দাবি করেছেন।

কিন্তু তা সত্বেও একের পর এক বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যদের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরিবার থেকেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিতে দেখা গিয়েছে। আর এবার পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর বাড়ির লোক ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করালেন। তবে তবে জানা গিয়েছে, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর ভাই কৃত্তিবাস মাহাতো এবং ভাইপো পরমেশ্বর মাহাতো ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড এর সুবিধা গ্রহণ করলেও সাংসদ নিজে এবং তাঁর মা এই প্রকল্পের সুবিধা নেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগেও মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরিবারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নেওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তিনি ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড এর বিরোধিতা করছেন না। তবে সরকার যেভাবে প্রতারণা চালাচ্ছে, তার বিরোধিতা করছেন। এমনকি তিনি জানিয়েছিলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করার সুযোগ পেলে তিনিও করাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প যে দলমত নির্বিশেষে সবার মধ্যেই সাড়া ফেলেছে, তা কিন্তু ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প বা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেন দল মত নির্বিশেষে সবার জন্য হয়। সে কথারই সত্যতা প্রমাণ হচ্ছে বিজেপি নেতাদের পরিবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প গ্রহণ করায়। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি নেতাদের পরিবার থেকে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড গ্রহণ করায় খুব স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সরকারের প্রকল্প নিয়ে যে তীব্র কটাক্ষ চলছিল, তা কিন্তু এককথায় তাৎপর্যহীন হয়ে পড়ল।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!