এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রেশন ডিলারের কাছ থেকে জোর করে চাল নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে – জোর শোরগোল

রেশন ডিলারের কাছ থেকে জোর করে চাল নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে – জোর শোরগোল


করোনা ভাইরাসের সংকটের মুহূর্তে প্রায় প্রতিটি সরকার চেষ্টা করছে লকডাউনের মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার। তবে এই লকডাউন করার জন্য অনেক মানুষ বিশেষত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। দোকানপাট খোলা না থাকায় তারা কিভাবে তাদের দিন গুজরান করবেন, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন হতদরিদ্র মানুষরা। যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সাধারণ গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেশন ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করা হয়েছে।

যেখানে কারও রেশন কার্ড না থাকলেও তাকে রেশনের মাধ্যমে খাদ্যশস্য দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে প্রথম দিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

বিশেষত, বিজেপির পক্ষ থেকে প্রায়শই এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এমনকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে হাতেনাতে অনেক ঘটনা ধরা পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। তবে সেখানে কোনো দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না মা-মাটি-মানুষের সরকার বলে প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু এবার রেশন ডিলারের কাছ থেকে জোর করে চাল নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় প্রবল বিপাকে পড়ল তৃনমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতারা জোর করে ডিলারদের কাছ থেকে চাঁদ নিয়ে নিচ্ছেন। আবার কোথাও লুট করে দিচ্ছেন। তার খুব সামান্য অংশ মানুষের মধ্যে লোক দেখানো বিলি করছেন। তার জন্য টাকা নেন বলে শুনেছি। বাকিটা তারা বিক্রি করে দেন। ভয়ে ডিলাররা কিছু বলতে পারছেন না। অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপি সাংসদের পক্ষ থেকে রেশনে বলপূর্বক জিনিস নেওয়ার যে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা হল, তা নিয়ে এখন কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বা সাংসদের করা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বে তৃণমূল বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। দলের কেউই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। সাংসদ এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। আমি নিজে বিভিন্ন রেশন দোকান পরিদর্শন করেছি। ডিলারদের বলে দিয়েছি, কেউ যেন জিনিস কম না দেন। এই সময় বিজেপি কারও পাশে দাঁড়ায়নি। সাংসদ শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য এই কথা বলছেন।”

তবে বিজেপি সাংসদ তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন, তাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক রেজাউল করিম। এদিন তিনি বলেন, “সাংসদ মনে হয় ঠিক বলছেন না। কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ ডিলারের কাছ থেকে চাল নেই। এই ধরনের কোনো অভিযোগ ডিলারদের কেউ জানাননি। বরঞ্চ ডিলাররা কারচুপি করলে প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, রেশন নিয়ে বাংলায় বর্তমানে যেভাবে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে, তা বড়ই চিন্তার বিষয়। প্রায়শই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছিল। আর এবার যেভাবে সরাসরি রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে তৃণমূল কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেল। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্য নস্যাৎ করে দেওয়ায় রাজনৈতিক তরজা অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!