এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সারদা-নারদ নিয়ে বিরোধিতা আটকাতে মাস্টারস্ট্রোক শাসকদলের

সারদা-নারদ নিয়ে বিরোধিতা আটকাতে মাস্টারস্ট্রোক শাসকদলের

রাজ্যে শাসকদল হিসাবে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের রাজত্ব সরিয়ে ২০১১ সালে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর রাজ্যের শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েই উন্নয়নের জয়গান করতে থাকেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ত্ব। শুধু রাজ্যের উন্নয়নই নয়, এর পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ধীরে ধীরে শুরু হয় কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, নির্মল-বাংলার মত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পও। আর শাসকদলের দাবিমত এইসব উন্নয়ন ও সুবিধা যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তার সবথেকে বড় প্রমান ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। এক লড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভার মধ্যে একাই দখল করে ২১১ টি আসন।
কিন্তু মানুষের এই বিপুল আশীর্বাদ পেলেও কাঁটার মত বিঁধতে থাকে সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারি। এই দুই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যায় একাধিক তৃণমূল শীর্ষনেতার। ফলে সিবিআইয়ের জেরা বা হাজতবাস দুইই করতে হয় বেশ কিছুজনকে। যতই শাসকদল দাবি করুক, এইসব কেলেঙ্কারিতে শাসকদলের নাম জড়িয়ে যাওয়া আসলে কেন্দ্রের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির কারণ, বিরোধীরা কিন্তু সময় ও সুযোগ পেলেই এই নিয়ে বিঁধতে থাকে শাসকদলকে। আর এই সারদা ও নারদ নিয়ে যদি শাসকদলকে কেউ তীব্রতর অস্বস্তিতে ফেলে থাকেন তাহলে তাঁরা হলেন বর্তমানে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও কলকাতা পুরসভার কংগ্রেস দলনেতা প্রকাশ উপাধ্যায়। কলকাতার এক ওয়েব পোর্টালের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী যে প্রকাশ উপাধ্যায় নারদ কেলেঙ্কারিতে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শাসকদলের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন রাস্তায় নেমে বা মেয়রের ঘরের সামনে ধর্না দিয়ে, সেই কংগ্রেসের দাপুটে নেতা আগামী বছরের গোড়াতেই নাকি হাতে তুলে নিতে চলেছেন শাসকদলের পতাকা।
প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও যে কংগ্রেস নেতা কলকাতার বুকে পৌরসভার নির্বাচনে ৯ হাজার ভোটে জিতে দেখতে পারেন, হারিয়ে দিতে পারেন পরেশ পালের মত দাপুটে নেতা-বিধায়ককে। যে নেতা শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিকবার হামলার অভিযোগ করেও কলকাতার ‘ডুবন্ত’ কংগ্রেস ছাড়েননি, পিছিয়ে আসেননি আর্থিক-দুর্নীতি নিয়ে তীব্র শাসকদল বিরোধিতা থেকে, তিনিই এবার শাসকদলের পতাকা হাতে নিতে চলায়, কার্যত সারদা-নারদ নিয়ে শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলার রাস্তাটায় বন্ধ করে দিল শাসকদল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও প্রকাশবাবুর শাসকদলে যোগ দেওয়া নিয়ে সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস বা তাঁর নিজের কাছ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায় নি, তবুও যেহেতু এমন সম্ভাবনা উঁকি-ঝুঁকি মারছে, তাই মনে করা হচ্ছে সেই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপায়িত হলে তা এক বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে শাসকদলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!