এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দারিদ্র ছিনিয়ে নিতে পারেনি সততা- বিয়ে ভাঙায় সরকারি প্রকল্পের টাকা ফেরালেন ছাত্রী

দারিদ্র ছিনিয়ে নিতে পারেনি সততা- বিয়ে ভাঙায় সরকারি প্রকল্পের টাকা ফেরালেন ছাত্রী


এবার সততার এক অদ্ভুত নজির রেখে গেলেন ব্রজবল্লভপুর ব্রজমোহন তেওয়ারি শিক্ষা নিকেতনের দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়া বাংলার এক কন্যাশ্রী। বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাঁর সম্প্রতি। সেটার জন্যে রাজ্যসরকারের কাছে আবেদন করে রূপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার পেয়েছিলেন তিনি। গত ১০ জুলাই বিয়ের তারিখ ছিল তার। পাত্রী নিজেই বিয়ে ভেঙে দিয়ে রূপশ্রীর প্রকল্পের গোট টাকাটাই  ফিরিয়ে দিলেন এদিন বিডিও অফিসে। তার সততার পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ পরিবার সহ গ্রামবাসীও। এমনকি বিডিও অফিসার সীতাংশুশেখর শিটেও মেয়েটির টাকা ফেরতে দেওয়ায় ঘটনা বৃত্তান্ত জেনে ভূয়সী প্রশংসা করলেন তাঁর সততার। এবং আগামী দিনে পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্রীকে শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদও দিলেন।

পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরের পয়লাঘেরির বাসিন্দা ওই কন্যাশ্রী। নাম সন্ধ্যা মন্ডল। বয়স আঠেরো। স্থানীয় ব্রজবল্লভপুর ব্রজমোহন তিওয়ারি শিক্ষা নিকেতনে দ্বাদশ শ্রেনীতে পাঠরতা তিনি। বাব পবন মন্ডল,পেশা দিন মজুর। মাস খানেক আগে সন্ধ্যার জন্য বিয়ের সমন্ধ আসে। পাত্র সাগরও পেশায় দিনমজুর এবং সুমতিননগরের বাসিন্দা। ১০ জুলাই বিয়েও ঠিক হয় তাদের। আর্শিবাদ পর্বও সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাদের। এরপর বিয়ে ঠিক হওয়ার দিন কয়েকআগেই পাত্রের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে নেতিবাচক কথা জানতে পারে কন্যার পরিবার। তারপরই বিয়ে ভেঙে দেয় সন্ধ্যা। স্কুলের পোষাক পরেই বিডিও অফিসে রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে আসে সে এবং সঙ্গে ছিল টাকা ফেরত দেওয়ার আবেদন পত্রও।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

টাকা ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হতে অকপটে উওর দেন দ্বাদশবর্ষীয়া যুবতী। জানান, আবেদনের ভিত্তিতেই সরকারের তরফ থেকে বিয়ের জন্য টাকা পেয়েছিল সে। এখন তো সে বিয়ে করছে না তাই টাকা ফেরত দিতে এসেছেন তিনি। এর পাশাপাশি আরো জানান যে সে তার পড়াশুনো চালিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আপাতত পড়াশুনো করাই তার একমাত্র লক্ষ্য। ছাত্রীর বাবা পবন মন্তল জানান,তারা গরীব মানুষ। মেয়ের বিয়ের সমন্ধ আসায় বিয়েতে রাজি হয়েছিল তারা। কিন্তু পরে পাত্রের চরিত্র খারাপ জেনে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। মেয়ের ইচ্ছেই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বের।

অন্যদিকে ছাত্রীর মা মিঠু মন্ডল জানান,জেনে শুনে মেয়েকে মদ্যপ পাত্রের হাতে কখনোই তুলে দিতে পারেননা তারা।  আবার যখন বিয়ে দেবেন তখন ফের রাজ্যসরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইবেন বলেই জানালেন। বিধায়ক সমীর জানাও এ প্রসঙ্গে জানান,’ওই ছাত্রী কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পেয়েছিল। পরে বিয়ে ঠিক হওয়ায় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া টাকা ফেরত দিল। ছাত্রী আবার স্কুল যাবে।’

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!