এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ >   সাধারণের অভাব- অভিযোগ শোনার মত দলীয় কর্মীই নেই! বিস্ফোরক অভিযোগে অস্বস্তিতে শাসকদল

  সাধারণের অভাব- অভিযোগ শোনার মত দলীয় কর্মীই নেই! বিস্ফোরক অভিযোগে অস্বস্তিতে শাসকদল

 

লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর জনসংযোগ থেকে দল বিচ্ছিন্ন হয়েছে, একথা অনুধাবন করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই দলের রণনীতিকার হিসেবে তিনি নিয়োগ করেন ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরকে। আর ভোটগুরু দায়িত্ব নেওয়ার পরেই লক্ষ্য করা যায় “দিদিকে বলো” কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ শুনছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

আর গোটা তৃণমূল দলকে এইভাবে রাস্তায় নামিয়ে সাধারন মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ায় ঘাসফুল শিবিরের অনেকটাই লাভ হয়েছে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু এই “দিদিকে বলো” কর্মসূচি করতে গিয়ে সাধারন মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনতে যাওয়া অনেক তৃণমূল নেতারাই অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

মাঝেমধ্যেই সাধারণ মানুষের তরফে আনা অনেক অভিযোগ তাঁদেরকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। আর আর এবার “দিদিকে বলো” কর্মসূচি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ে অস্বস্তিতে পড়লেন বালুরঘাটের তৃণমূল নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শুক্রবার বালুরঘাটের 6 নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রপল্লী এলাকায় “দিদিকে বলো” কর্মসূচি পালন করতে যান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সদস্য হিলির উদয় বর্মন। যেখানে তার সাথে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট টাউন তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ চাকী, কার্যকরী সভাপতি সজয় সাহা, সৌরভ সরকার, সহ উক্ত ওয়ার্ডের নেতৃত্বরা।

প্রথম দিকে এই কর্মসূচি উপলক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের জনসমাগম দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা উদয় বর্মন খুশি হলেও পরবর্তীতে জনতার দুয়ারে যেতেই কিছু প্রশ্ন তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। জানা যায়, এদিন এই ওয়ার্ডের কিছু বাসিন্দা তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন করেন, দিদিকে বলো নাম্বারে আদৌ ফোন যাবে তো! আর এই প্রশ্নে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন তৃনমূল নেতৃত্বরা।

পরবর্তীতে অবশ্য ফোন করলে অবশ্যই ফোনে পাওয়া যাবে বলে জানিয়ে দেন তারা। এদিকে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই স্থানীয় এক চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে এদিন তার সমস্যার কথা জানতে চান তৃণমূল নেতারা। যার পরে সেই চিকিৎসকের বক্তব্য শুনে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয় তাদের।

সূত্রের খবর এদিন তৃণমূল নেতাদের সামনেই সেই চিকিৎসক বলেন, “এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন নেই। সাধারণ মানুষ কোথায় অভিযোগ জানাবেন!” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য দলকে নির্দেশ দিচ্ছেন, সেখানে এই কর্মসূচিতেই সাধারণ মানুষ যেভাবে তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তাতে ঘাসফুল শিবির যে বালুরঘাটে চরম পরিমাণে অস্বস্তিতে, সেই ব্যাপারে বলাই যায়।

তাহলে কি বালুরঘাটে সত্যিই তৃণমূলের সংগঠনের অভাব রয়েছে! আর তাই “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অভাব শুনতে গেলে তারা তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার পরামর্শ দিচ্ছেন! এদিন এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা উদয় বর্মনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানাব।”

তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, এই সমস্যা সমস্যাতেই থেকে যাবে। শুধু বালুরঘাট নয়, গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েই এখন তৃণমূলের অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থা। তাই সামনে বালুরঘাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে 6 নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের মুখ থেকে তৃণমূলের এই দুর্দশার কথা শোনায় তাদের সংগঠন যে তলানিতে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!