এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে যোগ দিতে চাওয়ায় দলীয় কর্মীকে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতার! ধরা পরে স্বীকার দোষ!

বিজেপিতে যোগ দিতে চাওয়ায় দলীয় কর্মীকে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতার! ধরা পরে স্বীকার দোষ!

 

লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শাসক দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। আর যাকে কেন্দ্র করে দল পরিবর্তন করা নেতাকর্মীদের ওপর কিভাবে বদলা আনা যায়, তার জন্য পাল্টা রনকৌশল সাজায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার বিজেপিতে ঢোকার জন্য এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূলের সরিফুল ইসলাম মন্ডলকে। জানা যায়, ধৃত ব্যক্তি পাটপুকুর এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত্রিবেলা নদিয়ার নাকাশিপারার মুণ্ডমালাপাড়ায় সফিউর রহমান ওরফে টিংকুকে গুলি করে খুন করার ঘটনা ঘটে। যার পরেই এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনার পরই সফিউর রহমানকে খুন করার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলে বিজেপি।

তারা অভিযোগ করেন, মৃত ব্যক্তি সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই তাকে এদিন গুলি করে খুন করা হল। এদিকে এই ঘটনাতে অভিযোগের তীর ওঠে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সরিফুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে। তবে প্রথম থেকেই নিজের দোষ অস্বীকার করেন তিনি। কিন্তু পুলিশি জেরায় অবশেষে তিনিই গুলি করে খুন করেছেন বলে স্বীকার করে নেন ধৃত ব্যক্তি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির 302, 34 ধারা 25 এবং 27 অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে বিজেপিতে প্রবেশ করবার আগ্রহ প্রকাশের জন্য কেন একজনকে খুন করা হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “দ্রুত এলাকার দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী খুন হওয়া সফিউর রহমান আমাদের দলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করাতেই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে বাকিদের গ্রেফতার করবে, আমরা এটাই আশা রাখি।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিন এই ব্যাপারে নাকাশিপাড়া তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করা হয়, তবে সেটা ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণ। আমরা পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলেছি। যে মারা গিয়েছে, সে আগে সিপিএম করত। এখন বিজেপির মোড়ক লাগিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রচার করা হচ্ছে।”

কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, যেভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে, তাতে এখানে আগামী দিনে ঘাসফুল অনেকটাই বিপাকে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!