এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শেষবেলায় সবংয়ে শাসকদলের তারকা সমাবেশে হাইভোল্টেজ প্রচার

শেষবেলায় সবংয়ে শাসকদলের তারকা সমাবেশে হাইভোল্টেজ প্রচার


সবং উপনির্বাচনে শেষ কে হাসবেন সে বোঝা যাবে ইভিএম খুললে। কিন্তু তার আগে প্রচারে যে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়, আবারো প্রমাণিত। একদিকে যেমন বিজেপির মুকুল রায় মাটি কামড়ে পরে থেকে পদযাত্রা আর বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারে জোর দিচ্ছেন, অন্যদিকে শাসকদল নিজেদের তারকা মেলার ছটায় সবংয়ের প্রচারের মাত্রা অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে। সবংয়ে শাসকদলের সমর্থনে সভা করলেন ঘাটালের সংসদ তথা জনপ্রিয় অভিনেতা দেব। দেবের সঙ্গে ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া ইন্দ্রানী হালদার, রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভূঁইয়া। কিন্তু প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই অভিনেতা দেব। দেব আসবেন শুনে এদিন দুপুর থেকে রাস্তায় রাস্তায় উৎসাহী জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তুমুল জনপ্রিয় দেব মঞ্চে আসতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন জনতা।
এরপর নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব বলেন, আমাকে ডাকার কোনও প্রয়োজন ছিল না। আমাদের বউদি, গীতাদি রেকর্ড ভোটে জিতবেন। মানসদা অনেক কাজ করেছেন, এই সরকার যা উন্নয়ন করেছে আর কোনও সরকারের আমলে এত উন্নয়নের কাজ হয়নি। আপনাদের ভালোবাসা, আশীর্বাদ যেন গীতারানি ভুঁইয়ার প্রতি থাকে। আমাদের সরকার ও দিদির পরিচয় উন্নয়নে, আমরা কাজ দিয়ে কথা বলি।
এরপর মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কার্যত একহাত নেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের ভোটের ফলে আপনাদের বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ এই ভোটে বিজেপির ভোট ও আসন দুইই কমেছে। আমি বলে দিচ্ছি, আগামী ২০১৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জয় হবে। গীতারানি ভুঁইয়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছেন। এই এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, দেব ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিং। গীতা ভুঁইয়াকে দু’নম্বর বোতাম টিপে ৮০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী করতে হবে। এরপর মানস ভূঁইয়াও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এই ভোটের দিকে সারা দেশ তাকিয়ে আছে। এই নির্বাচনকে খাটো করে দেখলে চলবে না। এই ভোটে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মমতার পথ ঠিক, নাকি সিপিএম, বিজেপির পথ ঠিক। সবং থেকে বলতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যোয়ের পথই ঠিক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!