এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে নতুন দায়িত্ব পেতেই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ফোন সব্যসাচীর, চলল জমিয়ে আড্ডা!

বিজেপিতে নতুন দায়িত্ব পেতেই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ফোন সব্যসাচীর, চলল জমিয়ে আড্ডা!


প্রায় কত বছর পর তার ফোন থেকে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম্বারে যে ফোন গেল, তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না কেউ। বিজেপিতে দায়িত্ব পাওয়ার পরদিনই বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তর থেকে বসে এবার করোনা আক্রান্ত সুজিত বসুর খোঁজ নিলেন ‘বিজেপি বিধায়ক’ সব্যসাচী দত্ত। যাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে সর্বত্র। বস্তুত, তৃণমূলে থাকার সময় এবং মেয়র পদে থাকার সময় থেকেই সুজিত বসুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তৎকালীন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের।

এদিকে ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বীকে ‘বধ’ করতে পাল্টা উদ্যোগী হন সুজিত বসু। মেয়র হওয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। যার ফলে মাঝেমধ্যেই সুজিত বসু-সব্যসাচীর দত্তের দ্বন্দ্ব প্রত্যক্ষ করতে হয় নিউটাউন বাসীকে। তবে বেশ কিছুদিন আগে সেই সব্যসাচী দত্ত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলে গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে সুজিত বসুর। আর এবার নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী সেই সুজিত বসুকেই ফোন করে তার শারীরিক সুস্থতার খবর নিলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত।

সূত্রের খবর, রবিবার বিজেপিতে দায়িত্ব পাওয়ার পরই সোমবার রাজ্য দপ্তরে যান সব্যসাচী দত্ত। আর সেখানে পৌঁছেই বিকেল চারটার পরে সুজিত বসুর নাম্বারে ফোন করতে দেখা যায় রাজারহাট নিউটাউনের বিজেপি বিধায়ককে। আর বিজেপি বিধায়কের এই ফোন কল দেখে রীতিমতো আশেপাশের লোকজন অবাক হয়ে যান। তবে সুজিত বসুর নাম্বারে সব্যসাচী দত্ত ফোন করলেও, ওপ্রান্ত থেকে সেই ফোন ধরার কোনো প্রয়াস দেখা যায়নি। রিং হয়ে গেলেও ফোন না ধরায় সব্যসাচী দত্ত বলেন, “কল রিসিভ হল না। কিন্তু আমি টেক্সট পাঠিয়ে দিয়েছি বিশ্বাস না হলে দেখে নিতে পারেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই উপস্থিত সকলকে সুজিত বসুর নম্বরে পাঠানো “গেট ওয়েল সুন” মেসেজটি দেখান সব্যসাচী দত্ত। যা দেখে রীতিমতো তার অনুগামী থেকে শুরু করে বিজেপি রাজ্য দপ্তরে আসা অনেকেই মুচকি হাসতে শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে যায় আশ্চর্যজনক ঘটনা। বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের ফোনে ফোন করতে দেখা যায় রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে। বিকেল পাঁচটার কিছু পরে সুজিত বসু সব্যসাচী দত্তকে ফোন করেন।

ফোনের ওপ্রান্ত থেকে কি বলা হচ্ছে, তা শোনা না গেলেও, সব্যসাচী দত্তকে বলতে শোনা যায়, “তুমি, বৌদি কেমন আছ? সকলে ভালো তো?” অর্থাৎ রাজনৈতিক সৌজন্যতার নিরিখেই আক্রান্ত রাজ্যের দমকল মন্ত্রী এবং তার স্ত্রীকে ফোন করে পদ পাওয়ার পরের দিনই সৌজন্যতা বজায় রাখলেন সব্যসাচী দত্ত বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে অনেকে বলছেন, এইরকম ফোনালাপ সব্যসাচী দত্ত এবং সুজিত বসুর মধ্যে যে কতদিন হয়নি, তা সত্যিই মনে করা সমস্যার কারণ।

কেননা তৃণমূলে থাকার সময় এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব রীতিমতো শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। একাংশ আবার রসিকতা করে বলেছেন, ভাগ্যিস সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে ছিলেন। তার জন্যই হয়ত বা সুজিত বসু এবং সব্যসাচী দত্তর এই ফোনালাপ প্রত্যক্ষ করা গেল! সব মিলিয়ে এবার সৌজন্যতার নজির দিয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বি সুজিত বসুকে ফোন করে শারীরিক সুস্থতার খবর নিলেন সব্যসাচী দত্ত। আর তারপরেই কি রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনার শুরু!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!