নিজেকে ‘সবথেকে বড় হিন্দু’ প্রমানে বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূল নেতার! কার্যত ধুয়ে দিলেন মুকুল রায়! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য October 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের সনাতন দারিদ্র ব্রাহ্মণ পূজারীদের মাসিক সাহায্য দানের কথা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল গত মাসে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, রাজ্যের মোট ৮০০০ দরিদ্র পুরোহিতকে মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করবে রাজ্য সরকার। পুজোর মুখে ও বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে রাজ্য সরকারের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সরব হয় রাজ্য বিজেপি। রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পুরোহিতের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার, এই অভিযোগ তোলে বিজেপি।আবার গতকাল শাসকদল তৃণমূলের উদ্যোগে পুরোহিতদের জন্য একটি বিশেষ সম্বর্ধনার আয়োজন করা হলো। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁর উদ্যোগে ৫১ জন পুরোহিতকে সম্বর্ধনা দেয়া হলো। নিজেদের নাম থেকে সংখ্যালঘু তোষণের তকমা ঘোচাতেই তৃণমূলের এমন উদ্যোগ বলে কটাক্ষ বিরোধী দল বিজেপির। গতকাল শনিবার সল্টলেকের ইজেডসিসিতে ৫১ জন পুরোহিতকে সম্বর্ধনা দেওয়া হল শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। বিজেপি মহিলা মোর্চা ও কালচারাল সেলের দূর্গা পূজার অদূরেই, মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করা হলো। এ প্রসঙ্গে বিধাননগর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর নির্মল দত্ত জানালেন, “আমি তো সবথেকে বড় হিন্দু। তাই ব্রাহ্মণদের সম্মানের জন্য এই আয়োজন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকালের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৫১ জন পুরোহিতকে সন্মান দিয়ে তাঁদেরকে পৈতা, নামাবলী বিতরণ করা হলো। পুরোহিতেরা জানালেন যে, এর ফলে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। ইতিপূর্বে তাদের কেউ এমন সন্মান জানায় নি। তাই তৃণমূলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন তাঁরা। গত সেপ্টেম্বর মাসে, রাজ্যের দরিদ্র ব্রাহ্মণ পূজারীদের ভাতা দেবার ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূল দলকে সরাসরি মুসলিম তোষণের অভিযোগে অভিযুক্ত না করেও জানালেন যে, তৃণমূল দলটি এতদিন পর্যন্ত একটি বিশেষ পক্ষকে সমর্থন করে এসেছে। যার ফল তারা লাভও করেছে। এবার নিজেদের শরীর থেকে এই নাম দূর করতেই পুরোহিতের ভাতা ও তাঁদের এই সম্বর্ধনার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল। তবে এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বক্তব্য, “মমতা সরকার আগেই বলেছে, পুরোহিত ভাতা দেওয়া হবে। তার আগে সুন্দর অনুষ্ঠান। আমরা পুজোর মধ্যেই থাকি। এরা পিছিয়ে পড়া। গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এটা রাজনীতির বিষয় নয়।” অন্যদিকে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়কেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগে গতকাল দুষল বামেরা। অন্যদিকে গতকাল জলপাইগুড়ি শহরের মোট ১৮৭ জন পুরুষ যোগদান হলেন তৃণমূল দলে। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃনমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, “আগে আরএসএসের ছত্রছায়ায় ছিলেন এঁরা, কিন্তু কোনওদিন কিছু পাননি।” যুব তৃনমূল সভাপতির এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা বক্তব্য দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বমি। সব নিয়েই সরগরম রাজনীতি মহল। এভাবেই তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হলো গতকাল। আপনার মতামত জানান -