এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > সামান্য পোকা মারার ওষুধেই এবার কাবু হবে করোনা? চমকে দেওয়া গবেষণার তথ্য ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের

সামান্য পোকা মারার ওষুধেই এবার কাবু হবে করোনা? চমকে দেওয়া গবেষণার তথ্য ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাবল্য আরো দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বের বুকে নভেল করোনা ভাইরাস এখন চরম আতংকের একটি নাম। যেভাবে রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানী থেকে গবেষকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে করোনাকে সামলাতে প্রয়োজন প্রতিষেধকের, আর সে কথা পরিষ্কার এতদিনে সবার কাছে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাশিয়া তো ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে। তবে এবার বিভিন্ন আলোচনার মধ্যে দিয়ে ব্রিটেনও হাজির করেছে করোনাকে ঠেকাতে এক অন্যরকম তত্ত্ব। বৃটেনের গবেষকদের দাবি, কীটনাশকের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যার দ্বারা নিমেষে করোনা হয়ে পড়ছে কাবু।

বৃটেনের কাছে প্রাথমিক পরীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিটেনের গবেষকরা করোনার সংক্রমণ আটকানো নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সেখান থেকেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ হয়েছে। বলা হচ্ছে, পোকা মারার ওষুধ অর্থাৎ কীটনাশক জাতীয় পদার্থ করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারেনা। কীটনাশকে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যার ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটতে পারেনা অতিমাত্রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সংক্রমণ রোধে সেইসব কীটনাশকগুলি সাহায্য করে যার মধ্যে সিট্রাডিওল এবং ইউক্যালিপটাস ওয়েল থাকে পর্যাপ্ত মাত্রায়। এক্ষেত্রে মশা মারার রিপিল্যান্ট করোনা রুখতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বৃটেনের মিলিটারি গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা দুরকম ভাবে এই পরীক্ষা চালাচ্ছেন। একটি পরীক্ষায় তাঁরা সরাসরি লিকুইড সোপ এর মত মশা মারার রিপিল্যান্ট প্রয়োগ করেছিলেন আর আরেকটি পরীক্ষার সিন্থেটিক স্ক্রিনে এই রিপিল্যান্ট প্রয়োগ করা হয়।

দেখা যায় মশা মারার রিপিল্যান্ট প্রয়োগ করার ফলে স্কিনে করোনা ভাইরাস অত্যাধিক সংক্রমণ ঘটাতে পারেনি। যদিও প্রাথমিক তত্ত্ব প্রকাশ হলেও বৃটেনের গবেষকরা এই নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে চান বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কীটনাশকের হাত ধরে যদি করোনার হাত থেকে মুক্তি মেলে, তাহলে তা গোটা বিশ্বের কাছে এক অনন্য রাস্তা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে যেভাবে একটু একটু করে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এগিয়ে চলেছে, তাতে নিঃসন্দেহে করোনা প্রতিষেধক এর ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মনই যথেষ্ট আশার আলো জাগতে শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কোনরকম তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয়। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে করোনার প্রতিষেধক সর্বসাধারণের সামনে আসবে বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!