এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সরকারের রক্তচাপ বাড়িয়ে কংগ্রেস নেতা সন্ময় ব্যানার্জীর গ্রেফতারি নিয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল

সরকারের রক্তচাপ বাড়িয়ে কংগ্রেস নেতা সন্ময় ব্যানার্জীর গ্রেফতারি নিয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল

ফের রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে ময়দানে নামলেন রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধান। এবার কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি নিয়ে বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কাছে খোঁজখবর নিলেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততা এবার আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই সোদপুরের বাড়ি থেকে কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কাউন্সিলার সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে পুরুলিয়া পুলিশ। আর এরপরই রবিবার পুরুলিয়া আদালতে জামিন পাওয়ার পরই সন্ময়বাবু অভিযোগ করেন, পুলিশি হেফাজতে তার ওপর দৈহিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি রাজ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলার জন্যই তার ওপরে এরুপ অত্যাচার করা হয়েছে।

এদিকে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাকে এভাবে গ্রেফতার করা নিয়ে প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। কেন একজন কংগ্রেস নেতাকে এইভাবে গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন সকলেই। যদিও বা এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল সরকারপক্ষ।

আর এবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার ইস্যুতে সরকারপক্ষকে বিদ্ধ করছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে ময়দানে নেমে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।

জানা গেছে, সোমবার একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের জন্য রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। তার আগে বিরোধী দলনেতার কাছে রাজ্যপাল সেই সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিষদ খোঁজখবর নিলে পরবর্তীতে আবু হাসেম খান চৌধুরীর সঙ্গেই সেই রাজভবনে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, রাজ্যপাল পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের অভিযোগ সহ সংশ্লিষ্ট এফআইআরের নথি দেখতে চেয়েছেন। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাইরে বেরিয়ে এসে বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “রাজ্য সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করায় নবান্ন প্রতিহিংসামূলক আচরণ শুরু করেছে। আমরা শাসকদলের এই ষড়যন্ত্রের কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছি। রাজ্যপাল পুলিশের আচরণ নিয়ে যে অভিযোগ এবং যে এফআইআর হয়েছে, তার প্রতিলিপি জমা দিতে বলেছেন।”

আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যদি মান্নান সাহেবের এই কথা সত্যি হয়, তাহলে কংগ্রেস নেতার গ্রেপ্তারিতে এবার প্রতিলিপি চেয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তিকে আরও অনেকটা বাড়িয়ে দিতে চলেছেন রাজভবনের প্রধান ব্যক্তি। কিন্তু এতদিন যেভাবে সরকারপক্ষ রাজ্যপালকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তুলেছে, এক্ষেত্রে কংগ্রেস নেতা গ্রেপ্তারে অভিযোগের ভিত্তিতে যেভাবে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তাতে যদি তিনি বিজেপির ঘনিষ্ঠই হন, তাহলে তিনি কেন কংগ্রেস নেতার গ্রেপ্তারিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন!

অনেকে বলছেন, তৃণমূল-বিজেপি-কংগ্রেস বা সিপিএম, বর্তমান রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সকলকেই এক নজরে দেখেন। কিন্তু শাসকের কাজে বাধা পড়লেই সেই রাজ্যপালকে কোনো একটি দলের বলে বিবেচিত করা হয়। কিন্তু কেন এটা এখন পশ্চিমবঙ্গে শুরু হল! তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সব পক্ষই। তবে এখন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারি ইস্যুতে প্রতিলিপি চেয়ে রাজ্য সরকার বা শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনোরূপ মন্তব্য করেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!