এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সামনেই বড় বিপদ, একশো দিনের দুর্নীতিতে চোরের লাইন! বিস্ফোরক শুভেন্দু!

সামনেই বড় বিপদ, একশো দিনের দুর্নীতিতে চোরের লাইন! বিস্ফোরক শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেখানে পেরেছে, সেখানেই কোনো দিকে না দেখে না শুনে চুরি করেছে এই রাজ্যের সরকার। আজকে লজ্জা হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত থেকে ছাড় পাচ্ছেন না। তার প্রধান কারণ, এই রাজ্যের প্রশাসন। তারা এমনভাবে চুরি করেছে যে, প্রশাসনিক আধিকারিকদের পর্যন্ত সেখানে জড়িয়ে নিয়েছে। যার ফলে শিক্ষা, রেশনের পর এবার একশো দিনের দুর্নীতির ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় রেড চালাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনেকে বলছেন, একশো দিনের দুর্নীতি সব দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস একশো দিনের কাজের টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই কাজের ক্ষেত্রে, টাকা চুরি করার ক্ষেত্রে যেভাবে নেতা থেকে শুরু করে নির্মাণ সহায়ক, এমনকি প্রশাসনিক আধিকারিকরা পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েছেন, তাতে আগামী দিন বড় বিপদ অপেক্ষা করছে পুরো নবান্নের জন্য। বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তারপর সকলেই কার্যত নিশ্চিত যে, এই দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেভাবে মাঠে নেমে পড়েছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি একটা বড় ধামাকা দেখতে চলেছে রাজ্যের মানুষ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এদিনের ইঙ্গিত কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ। কিন্তু কি এমন বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একশো দিনের কাজের দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি একজন ডব্লিউবিসিএস অফিসারের বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি আধিকারিকরা। আর সেই বিষয় নিয়েই বিধানসভায় শুভেন্দুবাবুকে পেয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন সাংবাদিকরা। তারা বলেন যে, এই বিষয়ে কি বলবেন! তখন যে কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ইঙ্গিতবহ একটি মন্তব্য করে জানিয়ে দেন যে, একশো দিনের কাজে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তাতে আগামী দিন এই দুর্নীতি সকল দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে। এমনকি চোরেদের লাইন পড়ে যাবে। যাদের জন্য আলাদা করে জেল তৈরি করতে হবে। অস্থায়ী জেল তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে এই সমস্ত চোরেদের জন্য। এখন তৃণমূল এটাকে গুরুত্ব দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। কিন্তু যারা ওপর তলার তৃণমূলের নেতা-নেত্রী, তারা খুব ভালো করে জানেন যে, এই কাজের ক্ষেত্রে কতটা দুর্নীতি রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের অভিযান শুরু করতেই সেই সমস্ত শাসকদলের একদম সর্বোচ্চ মহলে এই নিয়ে আলাদা আলোচনা শুরু হয়েছে। তারাও এখন ভাবছেন যে, যদি সঠিক তদন্ত হয়, তাহলে আজ না হোক কাল, অনেককেই তো জেলে ঢোকার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। সেদিক থেকে মুখে তৃণমূল যতই প্রতিহিংসার আওয়াজ দিক না কেন, বাস্তবটা যে আলাদা, আর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাদের আতঙ্ক যে হুবহু মিলে যাচ্ছে, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও।

বিজেপির দাবি, লজ্জার মাথা খেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একশো দিনের কাজে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এর ফল পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। চোরেদের লাইন পড়ে যাবে। আর এই দুর্নীতির রহস্য ভেদেই পতন হবে ফ্যাসিস্ট সরকারের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু ফেলনা কথা বলেন না। আসলে এটা তো বুঝতে হবে যে, তিনি দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। আর তিনি দেখেছেন, কিভাবে এরা সর্বত্র মুখ ডুবিয়ে চুরি করেছে। তাই এই চোরেদের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে তিনি বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। আগামী দিনে এদের মুখোশ খুলে যাবে। কেন্দ্রীয় সংস্থা যেভাবে কাজ করছে, তাতে লক্ষ্য যদি স্থির থাকে, তাহলে ঠগ বাছতে গা উজার হয়ে যাবে। তাতে সব দুর্নীতির জন্য চোরেদের জেলে যাওয়াকে ছাপিয়ে যাবে একশো দিনের কাজের দুর্নীতিতে চোরেদের সংখ্যা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!