এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ক্যাগ শুনলেই আতঙ্কিত মমতা, রাজ্যের ভয় বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু!

ক্যাগ শুনলেই আতঙ্কিত মমতা, রাজ্যের ভয় বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন সব জায়গা থেকেই দুর্নীতির গন্ধ সামনে আসছিল। কিন্তু ক্যাগ রিপোর্টে যে পরিমাণ দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ হয়েছে এবং সেই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর পরের দিন বিধানসভায় সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা, তাতে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূলের মধ্যে। মুখে তৃণমূল নেতারা যাই বলুক না কেন, তারা এই গোটা ঘটনাকে বিগত বাম সরকারের ঘাড়ে দিয়ে যতই বাঁচার চেষ্টা করুক না কেন, পরিস্থিতি কিন্তু তেমনটা নয়। যত সময় যাচ্ছে, ততই একের পর এক সেই ক্যাগ রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরে এই রাজ্যের চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে তিনি সেই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আবার একটি বোমা ফাটালেন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ক্যাগ রিপোর্ট যে রাজ্যের মধ্যে চরম চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে, সেই আভাস দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে কি পরিমান অনিয়ম হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সত্যিই ভাবা যায়! এই সরকার এই রাজ্যকে কতটা নিচে নিয়ে যাচ্ছে! শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি তো রয়েছেই। কিন্তু কে জানত যে, ক্যাগ রিপোর্টে এত দুর্নীতি সামনে আসবে! যেখানে প্রায় দুই লক্ষ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। তবে  শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন, তারপর ক্রমশ টালমাটাল হতে শুরু করেছে নবান্নের অন্দরমহল।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভা অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন যে, এই ক্যাগ রিপোর্ট শুনে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকার আতঙ্কিত। তারা এই রিপোর্টের কথা শুনলেই চিৎকার শুরু করে দিচ্ছে। এখানে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ যে, ক্যাগ রিপোর্ট বিধানসভার ভেতরে পড়তে চাওয়া হলেও, তাদেরকে তাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন যে, যখন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই নেই, যখন তারা একদম সাধু বলে নিজেদের দাবি করছে। তাহলে সেই রিপোর্ট পড়তে দেওয়া হলো না কেন বিরোধী দলকে? কেন তাতে বারবার বাধাদান করছে এই রাজ্যের শাসক দল! তারা তো নাকি সততার প্রতিমূর্তি। এতই যখন সৎ হবেন, বিরোধীদের করা অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারছেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রীরা! মুখে কথা বলে কোনো লাভ হবে না, বিরোধীরা যখন কাগজ-কলম নিয়ে কথা বলছে, তখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং এই রাজ্যের শাসক দলকেও সেই সমস্ত কিছু মিথ্যা প্রমাণ করতে কাগজ-কলম নিয়েই সঠিক তথ্য প্রদান করে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা সৎ।

বিজেপির দাবি, এই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে অনেক দূর যাওয়া হবে। এই সরকার যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে, তার সমস্ত তথ্য ফাঁস করা হবে। আর সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই রিপোর্টে যে দুর্নীতির কথা উল্লেখ আছে, তা নিয়ে আতঙ্কিত তৃণমূল সরকার। তাই তারা বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। কিন্তু আইন আইনের পথেই চলবে। যে দুর্নীতি হয়েছে, তার জন্য গোটা নবান্নকেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কথায় আছে না, চোরের মায়ের গড় গলা! ঠিক সেই অবস্থাই হয়েছে এই রাজ্যের শাসক দলের। সব জায়গায় চুরি করে, সব জায়গায় দুর্নীতি করে বড় বড় কথা এই তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মুখে মানায় না। বিরোধীরা তো সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে সেটাকে ইস্যু করে আন্দোলন করবেই। কিন্তু সেখানেও এত অধৈর্য হচ্ছে কেন এই রাজ্যের সরকার? তারা যখন এতই সৎ, তাহলে কেন তারা নিজেদের সততার প্রমাণ দিতে পারছে না! নাকি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি এবং রেশন নিয়োগ দুর্নীতির সময় যেভাবে একের পর এক হেভিওয়েট ধরা পড়ছিল এবং তখন যেভাবে তাকে চক্রান্ত বলে দাবি করছিল এই সরকার এবং শেষে প্রমাণ হয়েছে যে, তারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও কি তেমনটাই হচ্ছে? প্রথমে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করে বিষয় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা! শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!