সততার নজির রেখে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূলের দুই জনপ্রতিনিধি, প্রশংসা সর্বত্র তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য August 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতি শব্দটা শাসক দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বলেই দাবি করেন বিরোধীরা। কার্যত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরোধীদের এই দাবি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই দুর্নীতি এড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষা প্রয়োগ করতে হয়েছে। এমনকি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দল থেকে বার করে দেওয়া, কাটমানি ফেরত দেওয়া সহ বিভিন্ন শুদ্ধিকরণ হয়েছে শাসকদলের অন্দরে। আবার এই শাসকদলেই কিন্তু সৎ নেতা-নেত্রীর দেখাও পাওয়া যায়। সেরকমই দুজন হলেন রাজেন কিস্কু এবং শ্রীমতি হেমব্রম। কার্যত এই দুজন শাসকদলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেও প্রশাসনের সুবিধা নিয়ে নিজেদের জন্য কিছু করতে চাননা। রাজেন কিস্কু পশ্চিম বর্ধমান জেলার লাউদোহারের প্রতাপ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অন্যদিকে শ্রীমতি হেমব্রম দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। প্রসঙ্গত, সরকারি প্রকল্পের ঘর পেতে গেলে এই জনপ্রতিনিধিদের উপরেই ভরসা করতে হয় গরীব গ্রামবাসীদের। অন্যদিকে রাজেন ও শ্রীমতী দু’জনই সম্পর্কে ভাই বোন। নিত্যদিনের অভাব তাঁদের হাত ধরে থাকলেও কোনদিনও সৎ থাকার স্বভাব থেকে তাঁরা সরে যাননি। এমনকি যখন কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাঁদের ঘরে জল ঢুকেছে, ফাটল দেখা দিয়েছে বাড়ির মাটির দেওয়ালে, তখনও কিন্তু তাঁরা নিজেদের পদমর্যাদা বা প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সরকারি প্রকল্পের ঘর পেতে মোটেই আগ্রহী নয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই ঘটনা খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসার যোগ্য হয়ে উঠেছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যখন দলেরই বহু কর্মীর বিরুদ্ধে কাটমানি বা জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে, সেসময় পশ্চিম বর্ধমানের এই দুই ভাইবোন দলের ভাবমূর্তিকে নিজেদের সততার জোরে আলাদা উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। ঘর না পাওয়ায় শ্রীমতি এবং রাজেনের কোন দুঃখ নেই। তাঁদেরকে যখন প্রশ্ন করা হয়, শাসকদলের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জন্য কেন তাঁরা ঘরের ব্যবস্থা করছেন না? তখন রাজেনের উত্তর ছিল, সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম ভেঙে তিনি কিছু নেবেন না। অন্যদিকে শ্রীমতি জানিয়েছেন, কষ্ট করে থাকতে হলেও তাঁরা কোনো আলাদা সুবিধা নেবেন না। শ্রীমতি এবং রাজেনের এই স্বার্থত্যাগ ও সততা দেখে গর্বিত পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি এ প্রসঙ্গে রাজেন এবং শ্রীমতীর স্বার্থত্যাগের কথা বলে গর্বের কথা জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই নেতা নেত্রী নিজেদের সততার জেরে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। সেক্ষেত্রে এই সততার দাম হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজেন অথবা শ্রীমতীর ভাঙা বাড়ী ঠিক করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -