এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সভাপতি বদলেও বাঁধ দেওয়া যাচ্ছে না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! এই জেলা ক্রমশ তৃণমূলের হাতের বাইরে যাচ্ছে?

সভাপতি বদলেও বাঁধ দেওয়া যাচ্ছে না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! এই জেলা ক্রমশ তৃণমূলের হাতের বাইরে যাচ্ছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচন যে প্রধানত বাংলার দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হতে চলেছে, সেকথা এতদিনে পরিষ্কার সবার কাছেই। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এবং এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলেই ব্যাখ্যা করছেন বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে সর্বস্তরেই।

কিন্তু তাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকানো যাচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি কোচবিহার জেলার দায়িত্বে এসেছেন পার্থপ্রতিম রায়। কিন্তু তাতেও কোচবিহারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমার বদলে নিত্যদিন বেড়েই চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় চলছে নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষ। এছাড়াও বিজেপির সঙ্গে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষে জড়াচ্ছে দল। তা যে আগামী দিনের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই।

তাই এই পরিস্থিতিতে দলকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে এবং জেলায় বিজেপিকে আটকাতে এবার কোচবিহার জেলার তৃণমূলের বিভিন্ন পদাধিকারী এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। সূত্রের খবর, মহালয়ার পর অর্থাৎ 15 সেপ্টেম্বর এর পরেই এই বৈঠক হবে। কোচবিহার জেলার রাজনৈতিক সংঘর্ষ কিংবা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এটাই প্রথম নয়। যখন কোচবিহারের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সে সময়েও কোচবিহারে দেখা হয়েছিল প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর রবীন্দ্রনাথবাবুকে সরিয়ে দিয়ে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। কিন্তু জেলা সভাপতির পরিবর্তন হলেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু একবারের জন্যেও বন্ধ হয়নি। সাম্প্রতিককালে কোচবিহার জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন পার্থপ্রতিম রায়। জেলার দায়িত্ব পেয়েই তিনি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার দিকে উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি তুফানগঞ্জের দেউচড়াইতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যায়।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই দেওচড়াইতেই ফুটবল খেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে অঞ্চল সভাপতি বদলের ঘোষণা করেন। আর তারপর থেকেই সেখানে শুরু হয় গন্ডগোল ও সংঘর্ষ। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, বিজেপির প্ররোচনায় যেন কোনভাবেই দলের কেউ পা না দেন সে ব্যাপারেও দলীয় বৈঠকে আলোচনা হবে।

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূল পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাই এবার তৃণমূল দ্বিগুণ উৎসাহে আবার উত্তরবঙ্গ ফেরত পাবার আশায় মনোযোগ দিয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যদি এখনই সমূলে উৎপাটন না করা হয়, তাহলে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল যে প্রবল বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে সে কথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। আপাতত কোচবিহারের পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!