এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্কুলশিক্ষা দপ্তরের চালু পাবলিক ওয়েবসাইট বন্ধ করে স্কুলশিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় সরকারি পোর্টাল এক ছাতার তলায় আসছে

স্কুলশিক্ষা দপ্তরের চালু পাবলিক ওয়েবসাইট বন্ধ করে স্কুলশিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় সরকারি পোর্টাল এক ছাতার তলায় আসছে


রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের কাজের গতি বাড়ানোর জন্যে এবং স্কুলশিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় সরকারি পোর্টাল এক ছাতার তলায় আনতে তৈরি করা হচ্ছে নতুন একটি ওয়েবসাইট। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের চালু করার পাবলিক ওয়েবসাইট wbsed.org.in বন্ধ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নতুনটির নাম এবং ইউআরএল একই থাকতে পারে। সামান্য কিছু বদল হয়তো করা হবে লাইসেন্স সংক্রান্ত কারণে।

আগামীকাল বিকাশভবনে নতুন ওয়েবসাইটির উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই জানা গেছে নবান্ন সূত্রে। নতুন ওয়েবসাইটের দুটি দিক থাকবে। একটি থাকবে সাধারণ মানুষের জন্যে এবং অন্যটি শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের জন্যে। এই দ্বিতীয়টি গোপন রাখা থাকবে সাধারণদের থেকে। এই ওয়েবসাইটটি চালু হলে শুধু দপ্তরের আধিকারিকরাই নন, উপকৃত হবেন সাধারণ শিক্ষকরাও। মাউসের একটি ক্লিকেই বিভাগীয় সমস্ত তথ্য পর্দায় ভেসে উঠবে।

প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে, শিক্ষাদপ্তরের পাবলিক ওয়েবসাইট ছাড়াও অন্য আরেকটি পোর্টাল রয়েছে, যেখানে প্রবেশ অধিকার শুধুমাত্রই কিছু আধিকারিক এবং কর্মীদেরই রয়েছে। আর এর মাধ্যমে ফাইল ট্র্যাকিংয়ের পাশাপাশি গোপন অর্ডার দেওয়া নেওয়া হয় বলেও গোপন সূত্রের খবর রয়েছে বলে দাবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

এছাড়াও, ডিরেক্টরেট অব স্কুল এডুকেশন (ডিএসই) এবং কমিশনারের দপ্তরের কাজকর্ম সম্পর্কিত নিজস্ব ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম রয়েছে। এতেও লগ ইন করার অধিকার শুধুমাত্র কিছু শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদেরই রয়েছে। নতুন ওয়েবসাইট চালু হলে এটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি তালা পড়তে চলেছে মিড ডে মিল, সর্বশিক্ষা অভিযানের নিজস্ব ওয়েবসাইটগুলোতেও।

ল’সেকশনের জন্যেও আলাদা একটি পোর্টাল তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছিল, কিন্তু সে পরিকল্পনাও বাতিল করে নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসন। এরফলে তথ্যের জন্যে আর বিভিন্ন জায়গা হাতড়াতে হবে না। ইউজারস সংক্রান্ত তথ্য হোক বা সরকারি অন্য কোনো সমীক্ষার তথ্য সবই এক জয়গায় পাওয়া যাবে এবার থেকে। এই একটি ওয়েবসাইটেই স্কুলশিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কোর্ট অর্ডারও দেওয়া থাকবে। ফলে শিক্ষক বা অন্যান্যরা অতি সহজেই অর্ডারগুলো দেখতে বা ডাউনলোড করতে পারবেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এছাড়া কোনো শীর্ষ আধিকারিক জরুরি কোনো তথ্য চেয়ে পাঠালে সেগুলো অবিলম্বে দিতে অধস্তনদের খুব একটা সমস্যা হবে না এবার থেকে। খুব সহজেই একটি সাইট থেকে বের করতে পারবেন তাঁরা। নজরে আসার মতো বিষয় হল, ওয়েবসাইটে স্কুল ম্যনেজমেন্ট সিস্টেম বা এসএমএস-এর অন্তর্ভুক্ত। কোনও স্কুলে শিক্ষক বা পড়ুয়াদের হাজিরা, কতজন মিড ডে মিল খাচ্ছে, কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে – সবই জানা যাবে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

একটি ড্যাশবোর্ডে সার্বিক স্কুলশিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে। খুব সহজেই জেনে নেওয়া যাবে বরাদ্দ, কোনও প্রকল্পের অগ্রগতি, সরকারি আদেশ প্রভৃতি। উল্লেখ্য নতুন এই সাইটে কর্মীদের পেনশনও অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এটা করা যাবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নয় এখনো প্রশাসন, কারণ পেনশন শুধু শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে জড়িত নেই। তাই এটি আদৌ কার্যকর করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বহুদিন ধরেই নতুন ওয়েবসাইটে তৈরি করার কাজ নীরবে চালিয়ে যাচ্ছিল ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টার (এনআইসি)। কিন্তু কাজটি আরো দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আরও একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই কাজে নিয়োগ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে জানা গেছে। এটি চালু হওয়ার পরে বিকাশভবনের ষষ্ঠতল স্কুলশিক্ষা সচিবের উল্টোদিকের ঘর থেকেই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক নেতা স্বপন মন্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনেক সময়ই দপ্তর বা কমিশনারের তরফে যা অর্ডার হয়, জেলাগুলিতে ডিআই’রা তার একেক রকম ব্যাখ্যা করে পরবর্তী অর্ডার দেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় কাজের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তাই নতুন ওয়েবসাইটে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম রাখার আবেদন করা হচ্ছে যাতে কোনো সরকারি অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন থাকলে শিক্ষকরা তার উত্তর দপ্তরের আধিকারিকদের থেকে নির্দ্বিধায় চেয়ে নিতে পারেন। সবমিলিয়ে আমূল ভোল বদলে যাচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অনলাইনের গতিবিধি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!