এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > শিক্ষাঙ্গন খোলার দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ, সংগঠন ফিরে পেতে মরিয়া বামেরা!

শিক্ষাঙ্গন খোলার দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ, সংগঠন ফিরে পেতে মরিয়া বামেরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– বিরোধীদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক রাজ্যে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্কুল, কলেজ অথবা শিক্ষাঙ্গন খোলার মতো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে রাজ্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হলেও, কেন শিক্ষাঙ্গন খুলে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করেছে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির পাশাপাশি রাজ্যে কার্যত শূন্য হয়ে যাওয়া সিপিএমের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের পক্ষ থেকেও বারবার এই প্রশ্ন করা হয়েছে সরকার পক্ষের উদ্দেশ্যে। আর এই ব্যাপারে শাসক শিবিরকে চাপে ফেলে দিয়ে এবার অভিনব বিক্ষোভ করতে শুরু করল বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।

সূত্রের খবর, আজ এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে হাজরা মোড়ে একটি প্রতিবাদ শুরু করা হয়। যেখানে বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীরা সেই প্রতিবাদে সামিল হন। দেখা যায়, সেখানে যারা প্রতিবাদ শুরু করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই বই খাতা নিয়ে রাস্তার মধ্যে পড়াশোনা করছেন। অর্থাৎ এই ধরনের প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে বামেদের এই ছাত্র সংগঠন দ্রুত যাতে শিক্ষাঙ্গন সচল করা হয়, তার কথা পৌঁছে দিতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের দাবি, শিক্ষাঙ্গন থেকে সরকারের কোনো লাভ হয় না। সেই কারণেই বিভিন্ন ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হলেও, এখন শিক্ষাঙ্গনকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। যা ভবিষ্যতের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন অনেকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সরকারকে চাপে ফেলে দিয়ে বামেদের ছাত্র সংগঠনের এই ধরনের প্রতিবাদ নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বলেই মনে করছেন একাংশ।তবে এক্ষেত্রে সরকার পক্ষের তরফে অবশ্য অন্য যুক্তি রয়েছে।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির তৃতীয় ঢেউয়ের উপর লক্ষ্য রেখেই সরকার শিক্ষাঙ্গন খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। মনে করা হচ্ছে, পুজো পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্কুল এবং কলেজ খুলতে শুরু করবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাঙ্গনকে কেন সচল করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে ধরে সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলতে বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে যাওয়া সিপিএমের ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে হালে পানি পেতে চাইছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!