এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর তদন্তভার এবার সিআইডির হাতে, বাড়ছে চাঞ্চল্য

শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর তদন্তভার এবার সিআইডির হাতে, বাড়ছে চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী দলনেতা হবার পর থেকেই কখনো সমবায় কেলেঙ্কারী, কখনো ত্রিপল চুরির মত একের পর এক অস্বস্তিজনক মামলায় জড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার পুরনো একটি খুনের মামলাকে কেন্দ্র করে বড়সড় বিপাকে পড়তে পারেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, 2018 সালে শুভেন্দু অধিকারী যখন রাজ্যের বর্তমান তৃণমূল সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী ছিলেন, ঠিক সে সময় তাঁর দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আর এই নিয়ে এবার নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকার সময় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন শুভব্রত চক্রবর্তী।

কিন্তু 2018 সালের 13 ই অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হন এই যুবক। তারপরের দিন কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। নতুন করে এই ঘটনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। আর এবার এই তদন্তভার তুলে দেওয়া হল সিআইডির হাতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন কার্যত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ওপর চাপ বাড়ল এই নিয়ে। সূত্রের খবর, সোমবার সিআইডির তরফ থেকে একটি দল যাচ্ছে কাঁথি থানায় শুভব্রত হত্যাকাণ্ডের যাবতীয় নথি সংগ্রহ করতে। ইতিমধ্যেই শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, একজন মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কিভাবে শুভব্রত গুলিবিদ্ধ হলেন? তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই বা এতো দেরী হলো কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এবং সেক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শুভব্রতর স্ত্রী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তার ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার দিকে। সুপর্ণা দেবী জানিয়েছেন, চলতি বছরে 21শে মে তাঁর কাছে বেশ কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আসেন এবং তাঁকে ভয় দেখান। পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা শুভব্রতর মৃত্যু নিয়ে কোন জায়গা থেকে ফোন এসেছে কিনা তা নিয়েও তত্ত্বতালাশ চালান। সব বিষয়টি নিয়ে শুভব্রতর স্ত্রী সন্দেহ করছেন, বড়োসড়ো কোন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের। অন্যদিকে এই মৃত্যুর গায়ে লেগেছে রাজনৈতিক রঙ।

ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ টুইট করে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে। তবে এই ঘটনার পেছনে শুভেন্দু অধিকারীকে অভিযুক্ত করা হলেও তিনি পাল্টা জানিয়েছেন, তাঁকে যেকোনো মূল্যে ফাঁসাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামান্তর বলে দাবী করেছেন। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে সিআইডি সূত্রে যদি কোন হেভিওয়েট নাম সামনে আসে, তা নিয়ে যে ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি হবে রাজ্য রাজনীতিতে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই মৃত্যুর পেছনে কে বা কারা তা নিয়ে এবার সিআইডি তদন্ত কোনদিকে মোড় নেয়, সে দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!