সংবাদমাধ্যমে খবরের জেরে নড়ে বসল প্রশাসন – সিঙ্গুরের চাষীদের প্রাপ্য প্রদান শুরু রাজ্য হাওড়া-হুগলি November 7, 2018 রাজ্যের একদা পরিবর্তনের গড় বলে পরিচিত সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন থেকেই বিগত বাম সরকারের আসন টলিয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাম সরকারকে। ক্ষমতায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। আর ক্ষমতায় এসেই আইনি জটে আটকে থাকা সিঙ্গুরের চাষীদের কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যেমন কোর্টে প্রবল লড়াই করছিল সরকার ঠিক তেমনি অনিচ্ছুক চাষীদের পাশে দাঁড়াতে 3600 জন কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিগত 2013 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে মাসে মাসে দু হাজার টাকা এবং দুই টাকা কেজি দরে 16 কেজি চাল দিতে শুরু করে রাজ্য সরকার। কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে সেই সাহায্যও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত মাথায় হাত পড়ে সিঙ্গুরের এই চাষীদের। আর একদা জমি আন্দোলনের গড় সিঙ্গুরের কৃষকদের এই দুর্দশার ঘটনাটি সম্প্রতি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের মত সামনে নিয়ে আসে প্রিয়বন্ধু বাংলাও। আর সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতে না হতেই এবার নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, গতকাল থেকে ফের সেই কৃষকদের চালের টোকেন বিলি করতে শুরু করে প্রশাসন। আর দেরিতে হলেও দীপাবলীর আগে বাড়িতে ভাতের হাড়ি চড়াতে পেরে কিছুটা স্বস্তিতে এখানকার কৃষকেরা। এদিন এই প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ির কৃষক বলরাম দাস বলেন, “দেরিতে হলেও কালীপুজোর আগে চালটা পেলাম। তবে চালের মান আগের মতো আর ভালো নেই।” এদিকে বিগত জুলাই মাস ধরে ঠিকমতো এই সিঙ্গুরের কৃষকেরা চাল না পাওয়ায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। জানা গেছে, ঠিকমতো পরিষেবা না দেওয়ায় হুগলি জেলা খাদ্য পরিদর্শক অসীম নন্দীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে তার জায়গায় এই দায়িত্ব দেখভাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরামবাগের অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ামককে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এদিন সিঙ্গুরে খাদ্য দপ্তরের 6 জন প্রতিনিধি দল তদন্তে গিয়েছিলেন। চাষিরা চাল না পাওয়ায় অসীম বাবুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আশা করি এখন থেকে প্রত্যেকেই সুষ্ট পরিষেবা পাবেন।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে এখানকার চাষিদের টাকা এতদিন ধরে কেন আটকে ছিল তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হুগলির জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা। সব মিলিয়ে সিঙ্গুরের চাষীদের প্রাপ্য প্রদান না পাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই সক্রিয় হল প্রশাসন। আপনার মতামত জানান -