এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সোমে ফের ইডির ডাক, এবার না গেলেই খেল খতম শাহজাহানের! সোচ্চার সুকান্ত!

সোমে ফের ইডির ডাক, এবার না গেলেই খেল খতম শাহজাহানের! সোচ্চার সুকান্ত!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এত অপরাধ, এত অভিযোগ থাকার পরেও একটা শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না এই রাজ্যের পুলিশ? কি ভাবছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী যে, তাকে আড়ালে রেখে সবকিছু ধামাচাপা দেওয়া যাবে! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর হামলা হলো, তারপর মহিলাদের প্রতিবাদ হলো, এখন বেরিয়ে পড়ছে একের পর এক ভয়ানক তথ্য যে, সেখানে নাকি তৃণমূল নেতারা রাত্রিবেলা মহিলাদের ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতেন! এত মারাত্মক অভিযোগের পরেও এই রাজ্যের পুলিশ চুপ করে বসে থাকছে কি করে? তাদের ঘরে কি মা বোন নেই! এই প্রশ্নটা কিন্তু তুলছে নাগরিক সমাজ।

আর তার মাঝেই আবার সেই শেখ শাহজাহানকে ইডির পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেই যে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সামনে আসার নাম গন্ধ বলতে কিছু নেই। বিরোধীরা দাবি করছে, পুলিশের কাছেই রয়েছেন শেখ শাহজাহান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে আশ্রয় দিচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল যখন তাকে আবার ডাকা হয়েছে, তখন তিনি যাবেন, নাকি অতীতের মতই এবারও না গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকবেন? কি করবেন, সেটা শাহজাহান এবং তার আশ্রয়দাতারা জানেন। কিন্তু আগামীকাল গেলেও বিপদ। আর না গেলেও বিপদ। গেলে যে তাকে ইডি ছেড়ে কথা বলবে না, সেটা স্পষ্ট। আর না গেলে তার বিরুদ্ধে আদালতে যে তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হবে এবং তারপর আদালত যে থ্যাতানিটা দেবে, যেটা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটা কিন্তু শাহজাহান তো বটেই, তার গোটা দলকেও চরম অস্বস্তিতে ফেলবে।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, শাহজাহানের যাওয়া উচিত। যদি সে না যায়, তাহলে আদালতের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ইডির। তারা আদালতে গিয়ে বলবে যে, শাহজাহান তদন্তে সহযোগিতা করছে না, তখন আদালতের একটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।” অনেকে বলছেন, যেভাবেই হোক, আজ না হোক কাল, শাহজাহানকে ধরা পড়তেই হবে। কয়েকদিনের জন্য তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু এভাবে নিজের অনুগত নেতাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো মিলে কোনোমতেই রক্ষা করতে পারবেন না। আদালত গোটা বিষয়টাতে যেহেতু দৃষ্টি দিয়েছে, তাই আগামীকাল না গেলে আরও ভয়ংকর বিপদ বাড়বে শাহাজাহানের। শুধু তার নয়, তিনি হয়তো যাবেন না বলেই ঠিক করেছেন। কিন্তু তিনি যদি না যান, তাহলে এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এবং সর্বোপরি পুলিশমন্ত্রীর ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শাহজাহানের তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত। তিনি যদি সেটা না করেন, তাহলে বিপদে পড়বেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অন্তত এই বিষয়ে পুলিশের আশ্রয় থাকা শাহাজাহানকে পরামর্শ দেওয়া উচিত। তা না হলে আগামী দিন অত্যন্ত ভয়ংকর হতে চলেছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, শেখ শাহজাহান বুঝতে পেরেছেন, তার সময় এবার শেষ। এবার তাকে হয় সামনে আসতে হবে, তা না হলে ঘেটি ধরে বের করবে তদন্তকারীরা। কারণ যে পুলিশকে এত কথা শুনতে হচ্ছে, তার আর ধৈর্য রাখতে পারছে না। তারাও জানে যে, ওপর তলার নির্দেশে তাদেরকে কাজ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হচ্ছে। তাই একদিন হয়ত এই পুলিশরাই প্রকাশ্য এনে দেবে শেখ শাহজাহানকে। তখন কিন্তু আর করার কিছু থাকবে না। প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। ফলে সময় থাকতে থাকতেই আগামীকাল ইডির ডাকে সারা দেওয়া উচিত শাহজাহানের। তা না হলে কেন্দ্রীয় সংস্থার পরবর্তী পদক্ষেপ অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!