এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর ঠ্যালায় কাপছে রাজভবনও, তড়িঘড়ি সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল!

শুভেন্দুর ঠ্যালায় কাপছে রাজভবনও, তড়িঘড়ি সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল!

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো কোন ছাড়! তাকে কে পাত্তা দেয় বলুন তো! যিনি পুত্র সম শুভেন্দু অধিকারীর কাছে গোহারা হেরে বাড়ি ফিরে যান, তাকে পাত্তা দেওয়ার মত রুচিবোধ অন্তত পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হয়নি। কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার হওয়ার পর তার মুখ থেকে অনেক বড় বড় কথা শোনা যায়। কিন্তু বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে কি করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জব্দ করতে হয়, কি করে তাকে প্রতিমুহূর্তে টেনশন রাখতে হয়, সেটা প্রতি পদে পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধু কি তাই, অত্যন্ত অভিজ্ঞ, যিনি এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কাজ করেছেন, সেই সিভি আনন্দ বোস, তাকেও এবার নাচিয়ে ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।

রসিকতা করে তেমনটাই বলছেন বিরোধীরা। কিন্তু কেন এমনটা বলা হচ্ছে? আপনারা সকলেই জানেন যে, শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু ইতিমধ্যেই ডেডলাইন দিয়েছেন যে, সোমবারের মধ্যে যদি রাজ্যপাল সন্দেশখালিতে না যান, তাহলে তিনি রাজভবনের সিঁড়িতে বসে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ধর্না করবেন। আর তারপরেই কেরলে থাকা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সমস্ত সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি বাংলায় ফিরছেন। আর শুধু রাজ্যে ফিরে আসা নয়, শুভেন্দু অধিকারী যে ঠিক জায়গায় টাইটা দিয়েছেন, সেটাও বোঝা যাচ্ছে রাজ্যপালের আরও একটি পদক্ষেপে। কিন্তু কি সেই পদক্ষেপ?

সূত্রের খবর, কেরল থেকে তড়িঘড়ি সমস্ত সফর কাটছাঁট করে বাংলায় ফিরছেন রাজ্যপাল। আগামীকাল সন্দেশখালি পৌঁছে যাবেন তিনি। গোটা এলাকা পরিদর্শন করবেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। অনেকে বলছেন, ঠিক এটাই তো চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাহলে তো তার আন্দোলন এবং বক্তব্যের জয় হলো। তিনি যে ডেডলাইন রাজভবনকে দিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাতে চাপে পড়তে হলো এই রাজ্যের রাজ্যপালকে। কি করে বেঁকে যাওয়া লাঠিকে সোজা করতে হয়, কি করে তাকে পথে আনতে হয়, সেটা এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে নরমে গরমে সম্পর্ক করব, আবার কেন্দ্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখব, দুটো যে একসাথে চলতে পারে না, সেটা রাজভবনে গিয়ে শনিবার ইঙ্গিতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আর তার হুঙ্কারের পর রাজভবনের পক্ষ থেকে হয়ত রাজ্যপালের কাছে খবর গিয়েছিল যে, তিনি তড়িঘড়ি না আসলে শুভেন্দু অধিকারী যে ডেডলাইন দিয়েছেন, তা মারাত্মক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। তিনি সন্দেশখালি না গেলে বিজেপি বিধায়করা বসে পড়তে পারে রাজভবনের দরজার সামনে। তখন কিন্তু ভাইপোকে অনুমতি দেওয়া এই রাজভবনের প্রধান ব্যক্তি কিছু বলতে পারবেন না। তার থেকে ভালো, শুভেন্দু অধিকারী যে দাবি করেছেন, সেই দাবি পূরণ করে দেওয়া। তাই রাজ্যপাল যখন পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসে সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন, তখন শুভেন্দু অধিকারীর একটা বড় জয় হলো বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সবে তো খেলা শুরু হয়েছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝবেন, বিরোধিতা কাকে বলে। শুভেন্দু অধিকারী আর যাই হোক, ছেড়ে দেওয়ার লোক নন। তিনি চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন জন্যই তার কোনো পিছুটান নেই। তার কোনো ভয় নেই। তাই রাজ্যপালের বাড়িতে গিয়েও তিনি হুংকার ছেড়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, রাজ্যপাল যদি সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে তিনি প্রতিবাদে বসবেন বিরোধী বিধায়কদের নিয়ে। আর এতেই থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছিল রাজভবন। দিনের শেষে আবার প্রমাণ হয়ে গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধি তো অত্যন্ত শিশু শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তিনি অনেক অভিজ্ঞ, অনেক প্রশাসনিক কাজ করা এই রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপালকেও নিজের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যিনি নিজের সঠিক দাবির মধ্যে দিয়ে পথে আনতে বাধ্য হলেন। জননেতা হিসেবে আবার স্বীকৃতি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!