এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জিও শুভেন্দু, মমতার ঘুম কেড়ে নিতে বিরাট পদক্ষেপ! সোমেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!

জিও শুভেন্দু, মমতার ঘুম কেড়ে নিতে বিরাট পদক্ষেপ! সোমেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেকে ভেবেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী হয়ত রাজভবনে গিয়ে ভোকাল টনিক দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যপাল যেহেতু শেষ পর্যায়ে সন্দেশখালি যাচ্ছেন, তাই তিনি আর সন্দেশখালি যাবেন না। কিন্তু না। নিজের অবস্থানে অনড় থেকে আগামীকাল একটা বড় পদক্ষেপ নিচ্ছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই রাজ্যের শাসক দল সন্দেশখালির ঘটনাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে আবার পুলিশ প্রশাসনকে নিজেদের মত করে ব্যবহার করছে।

শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে রাজভবনে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন যে, রাজ্যপাল যদি সেখানে না যান, তাহলে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে করে তিনি সন্দেশখালিতে যাবেন। ১৪৪ ধারা ভেঙে এই প্রশাসনকে দেখিয়ে দেবেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে জানে বিজেপি। আর নিজের সেই বক্তব্যে স্থির থেকে আগামীকাল যে রাজ্য রাজনীতিতে বড় কিছু হতে চলেছে, তার আভাস দিয়ে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু আবার কি তুলকালাম বাঁধাতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? অনেকে বলছেন, আগামীকাল শুভেন্দুবাবুর পদক্ষেপ এযাবৎ কালে শাসকের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় পদক্ষেপ হবে। যাতে ঘুম উড়ে যেতে পারে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর।

প্রসঙ্গত, শনিবার শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে গিয়ে জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যপালকে সন্দেশখালিতে যেতে হবে। যদি তিনি না যান, তাহলে সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার বিধানসভা থেকে একত্রিত হয়ে সেখানে পৌঁছে যাবেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারীর এই ডেডলাইনে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন রাজ্যপাল। তিনি আগামীকাল সন্দেশখালি যাচ্ছেন। তবে এই সব কিছুর পরোয়া না করে নিজের দেওয়া কথা রেখে তিনি যে এই শাসক দল এবং তাদের পুলিশ প্রশাসনের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে জানেন এবং কোনো কিছুকে ভয় পান না, তার প্রমাণ আবার দিতে চলেছেন শুভেন্দুবাবু।

এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, সোমবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা একত্রিত হবেন। তারপর একটা ছোট বাস করে 50 জন বিজেপি বিধায়ক সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আর শুভেন্দু অধিকারী যাচ্ছেন, বিজেপি বিধায়করা যাচ্ছে, এতে নিশ্চিতভাবেই আতঙ্কিত হয়ে আগে থেকেই পুলিশ প্রশাসন সর্বশক্তি লাগিয়ে দেবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এটাই তো হয়ে এসেছে এতদিন। তাই যেখানে বিজেপিকে আটকে দেওয়া হবে, সেখানেই তারা প্রতিবাদে বসে পড়বে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

বিজেপির দাবি, আগামীকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝবেন, খেলা কাকে বলে। শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো মুশকিল। এতদিন পুলিশ দিয়ে অনেকের মুখ বন্ধ করতে পেরেছেন। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল সেটিংয়ের রাস্তায় হাঁটে না। আগামীকাল যদি বিরোধী দলকে আটকানো হয়, তাহলে হাতেনাতেই তার জবাব পাবে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকার। ইটের জবাব পাটকেলে দেওয়ার জন্য তৈরি বিরোধীরা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের মানুষ এত পছন্দ করেন। তিনি কথা দিলে কথা রাখতে জানেন। রাজ্যপাল যেতেই পারেন, সেটা শুভেন্দু অধিকারীর একটা বড় জয়। কিন্তু তিনি যে হাল ছেড়ে দেবেন না, বিরোধী দলকে রাজনীতি করে, এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেই তো ক্ষমতা দখল করতে হবে। সেটা বেশ ভালো মতই উপলব্ধি করতে পেরেছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই সন্দেশখালির মতো জ্বলন্ত ইস্যু আর মমতা পুলিশের ওদ্ধত্যকে ভাঙতে গেলে লড়াই করা বড় প্রয়োজন।

আর সেই কারণেই তিনি আগামীকাল বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের একত্রিত করে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই সপ্তাহের প্রথম দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুলিশকে দিয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিরোধী দলকে আটকাতে চাইবেন। কিন্তু তার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে, রাজনৈতিক আন্দোলন কতটা তীব্র হতে পারে, তা পরোতে পরোতে আগামী কাল যন্ত্রণার সহকারে, চিন্তার সহকারে অনুভব করতে হবে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। যার প্রভাব আগামী দিনে নিশ্চিত করেই রাজ্য রাজনীতিতে পড়বে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!