এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সন্দেশখালি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবাদ, ফের শুভেন্দুর কণ্ঠরোধের চেষ্টা! উত্তাল বিধানসভা!

সন্দেশখালি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবাদ, ফের শুভেন্দুর কণ্ঠরোধের চেষ্টা! উত্তাল বিধানসভা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের সরকার তো বটেই, বিধানসভার অধ্যক্ষেরও কি লজ্জা বলতে কিছু হচ্ছে না? বাংলার মা বোনেরা যখন নির্যাতনের শিকার, যখন সন্দেশখালীর মা-বোনেরা প্রতিবাদ করে জানিয়ে দিচ্ছে যে, তাদের মাঝরাতে তৃণমূল নেতারা ডেকে পাঠাতেন নিজেদের ভোগ্যপণ্য হিসাবে। তারপরেও কেন চোখ খুলতে পারছে না এই রাজ্যের সরকার? তারপরও কেন তাদের বিবেক দংশন হচ্ছে না? ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী তার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় অধিবেশনে যুক্ত হন। যেখানে সকল বিজেপি বিধায়করা “সন্দেশখালি সঙ্গে আছি” লেখা একটি টি-শার্ট পড়েছিলেন।

আর সেটাতেই আপত্তি জানাতে দেখা গেল বিধানসভার অধ্যক্ষের‌। টিশার্ট খুলে আসার জন্য সকলকে নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তার প্রতিবাদ জানাতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, আমরা অন্যায় কিছু লিখিনি। আর তারপরেই এই রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন, যার ফলে মনে করা হচ্ছে যে, আবার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হলো বিধানসভায়। কিন্তু এসব করে কি লাভ হবে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর? বিধানসভার ভেতরে কথা বলতে না দিলে বাইরে শুভেন্দু অধিকারী প্রতিবাদ করতে জানেন। তাই সেটা তিনি করে দেখাবেন। আর সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে শাসক দল চাপে পড়েছে জন্যেই আজকে বিধানসভায় অধ্যক্ষের পদটাকেও নিরপেক্ষ না রেখে দলীয় নির্দেশে তাকে কাজ করতে হচ্ছে। আর সেই কারণেই বিজেপি বিধায়কদের ওপর এই ধরনের ফ্যাসিস্ট নীতি প্রয়োগ করা হলো বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, আজ রাজ্য বিধানসভায় সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বিজেপি বিধায়করা একটি টি শার্ট পড়ে যান। আর সেই ঘটনা নিয়েই আপত্তি জানিয়ে শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী সহ ছয় জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। অনেকে বলছেন, এই বিধানসভার অধ্যক্ষ যে শাসকদলের কথামতই কাজ করেন এবং তিনি যে নিজের চেয়ারকে নিরপেক্ষ করে রাখতে পারছেন না, সেটা প্রথম দিন থেকেই বোঝা গিয়েছিল। তাই তার কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। কিন্তু এসব যে একদম রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর তরফে আসা নির্দেশেই হচ্ছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছে যে, সন্দেশখালির ঘটনা কতটা ভয়াবহ! তারপরেও সেই ঘটনা যাদের জন্য ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন না নিয়ে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারটুকু বিধানসভার ভেতরে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা যে প্রতিবাদ করছেন, তাতে শাসক দল চাপে পড়ছে। তাই শাসক দলের হয়ে ব্যাটিং করে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়কদের কণ্ঠরোধ করতে একটা সাসপেন্ডের রাস্তায় হেঁটে এই রাজ্যের বিধানসভার উদ্যোগ নিজেকে দলদাস হিসেবে প্রমাণ করলেন। তবে এসব যত হবে, ততই শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্যের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বিধানসভার ভেতরে সাসপেন্ড করে মুখ বন্ধ করানো যাবে না। সন্দেশখালির মানুষের পাশে থাকতে বদ্ধ পরিকর রাজ্যের বিরোধী দল। তারা শাসকদলের এই সমস্ত সাসপেনশনকে ভয় পায় না। বিধানসভার অধ্যক্ষ যা খুশি তাই করতে পারেন। কিন্তু বিধানসভার ভেতরে কথা বলা বন্ধ হলে বাইরে কি করে রাজ্যের মানুষের জন্য আওয়াজ তুলতে হয়, সেটা খুব ভালো করেই জানা আছে। তাই এই সমস্ত দমন পীড়ন করে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিধানসভায় তো উপস্থিত থাকেন না। আসলে তিনি ভয় পান বিরোধী শিবিরকে। তিনি ভয় পান শুভেন্দু অধিকারীকে। আর সেটা প্রতি পদে পদে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে যে জ্বলন্ত ইস্যু তৈরি হয়েছে রাজ্যের মাটিতে, তাতে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দেখানোর মত জায়গা নেই। তাই বিরোধী দলের মুখোমুখি না হয়ে তিনি বাইরে সাংবাদিকদের বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যখন চেপে ধরেছেন, বিধানসভার ভেতরে যখন তৃণমূল বিধায়কদের কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে, তখন আবার তাদের মুখ বন্ধের চেষ্টা। আবার একটা ফ্যাসিস্ট নিয়ম এই রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধীদের প্রতি প্রয়োগ করার চেষ্টা করলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!