এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘গব্বর সিং’ সব্যসাচী ‘ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা খুলেছে’ বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ!

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘গব্বর সিং’ সব্যসাচী ‘ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা খুলেছে’ বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ হিসেবে দেখছে বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে দুদিনের বঙ্গ সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ সফরে এসে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য সম্পর্কে আশা প্রকাশ করে দলের নেতাকর্মীদের তিনি যেমন উজ্জীবিত করেছেন, তেমনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি একাধিক বিষেদাগার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল দলের বিভিন্ন নেতা। গতকাল শনিবার বিকেলে ১১৬, বিধান নগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক রাজনৈতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের প্রতি তীব্র বিষেদাগার করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।

গতকাল শনিবার এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, বিধাননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা। এদিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিধান নগরে ভালো ফল লাভের চেষ্টা রয়েছে বিজেপির। এ কারণে, ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার বা ইজেডসিসিতে দূর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলীয় বৈঠক করেছিলেন। গতকালের এই সম্মেলনের সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গ তো দূরের কথা শুধুমাত্র বিধান নগর দখল করতেও পারবে না বিজেপি। বিজেপির কাছে যা দিবাস্বপ্নে পরিণত হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফরকে নিয়ে তীব্র বিষেদাগার করলেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলা দলের জন্য রীতিমতো কুস্তি করতে শুরু করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি ‘গব্বর সিং’ বলে কটাক্ষ করলেন। অন্যদিকে বিধান নগরে বিজেপির সাফল্য সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, বিধান নগরে বিজেপি দুর্গাপূজা করছে, করছে দলীয় বৈঠক। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। বিধান নগর তৃণমূলের ছিল, তৃণমূলের আছে এবং ভবিষ্যতেও তা তৃণমূলের থাকবে বলে দাবি করলেন তিনি।

অন্যদিকে, বিজেপিতে চলে যাওয়া বিধান নগর পুরসভার পূর্ববর্তী মেয়র সব্যসাচী দত্ত প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, সব্যসাচী দত্ত বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তিনি দেখেছেন সব্যসাচী দত্ত মতুয়া বাড়িতে খাবার দিচ্ছেন অমিত শাহকে। তাঁর মন্তব্য, সব্যসাচী দত্ত এখন আর কোনো রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি ক্যাটারিং এর ব্যবসা খুলেছেন। এরপর, পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সম্পর্কে ও বেশ কিছু বক্তব্য রাখলেন সাংসদ সৌগত রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, রাজ্যে যদি ৩৫৬ ধারা জারি করা হয়, তবে রাজ্য থেকে বিজেপি একেবারে উবে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার নবান্ন অভিযান সম্পর্কে সৌগত রায় জানালেন যে, যে দলের নেতাকর্মীরা সামান্য রঙ্গিন জলের আঘাত সহ্য করতে পারে না তাদের পক্ষে তৃণমূলের মোকাবিলা করা কখনোই সম্ভব নয়। এরপর রাজ্যপালকে নিয়েও একাধিক বিরূপ মন্তব্য করলেন সাংসদ সৌগত রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করলেন যে, রাজ্যপালের কার্যকলাপ নিয়ম-নীতির উপরে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যপালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, ” ঠিক যেন শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল”

অন্যদিকে, গতকালের এই সম্মেলনে দত্তাবাদের বেশ কিছু বিজেপি কর্মী, সদস্য বিজেপি ছেড়ে যোগদান করলেন তৃণমূলে। ‘জয় হিন্দ’, ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি দিয়ে নবাগত তৃণমূলীদের হাতে তৃণমূল দলের পতাকা তুলে দিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বিজেপি দাবি করছে পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করবে তারা। তাঁর কটাক্ষ সোনার বাংলা কখনোই তাদের হাতে তৈরী হওয়া সম্ভব নয়। বিজেপিকে তিনি ‘বড়লোকের দল’ বলে কটাক্ষ করলেন।

তিনি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকার রাজ্যের দরিদ্র মা, বোনের পশে আছে। গতকালের এই সম্মেলনে বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত সম্পর্কে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানালেন যে, শাসক দল তৃণমূলে বিশ্বাসঘাতকের কোন স্থান নেই। যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন তাদেরকে দল ছাড়তে হবে। এভাবেই বিজেপির প্রতি একাধিক বিষেদাগার তৃণমূল নেতাদের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!