প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের আগে দল সাজাতে বিজেপি যে উঠে পড়ে লেগেছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে টেক্কা দিতে নিজের দলকে শক্ত পোক্ত করে গড়ে তুলতে, অনেক রকমেরই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে গেরুয়া দলের অন্দরে। তবে অবশেষে সর্বভারতীয় স্তরে মুকুল রায়কে যে বড় পদ দেওয়া হবে সেই নিয়ে অনেকদিন ধরেই জল্পনা ছিল। কারণ কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্যের বিজেপি সভাপতি পদে তাঁকে না রাখা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। এবং তারপরেই মনে করা হয় যেহেতু রাজ্যে বিজেপি সভাপতি হিসেবে তাঁকে রাখা হয়নি, তবে নিশ্চয়ই কেন্দ্রের কোন বড় পদ তাঁর জন্য রয়েছে। আর সেখানেই দেখা গেল বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে।

সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে লোকসভা ভোটের সাফল্যের যোগ্য প্রাপ্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আজকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন। আর সেখানেই দেখা গেছে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে। সেইসঙ্গে মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনুপম হাজরাও পেয়েছেন বড় রকমের পদ। তাঁকে রাখা হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সম্পাদকের পদে। এভাবেই মুকুল রায়ের অনুসরণে বিজেপিতে যোগদান করা এই নেতাকেও বিজেপির তরফ থেকে যোগ্য সন্মান দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

তবে মুকুল রায়ের পাশাপাশি অনুপম হাজরার বিজেপির জাতীয় সহ-সম্পাদক হয়ে বড় পদ পাওয়া নিয়ে তাঁদের অনুরাগী মহলে বেশ খুশির হাওয়া বইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ, এই জননেতা ২০১৯ সালের লোকসভায় যাদবপুর থেকে প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু সেবারে মিমি চক্রবর্তীর কাছে তাঁকে বিরাট ব্যবধানে হারতে হয়েছিল। তারপর থেকে দলে তিনি ততটা সক্রিয় ছিলেন না বলেই জানা যায়। তবে এবার তাঁকে বড় পদ দেওয়া নিয়ে মিটেছে সবকিছু। এছাড়াও জাতীয় মুখপাত্র প্যানেলে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তাকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এতকিছুর মাঝখানে বাদ পড়েছেন রাহুল সিনহা। যিনি এতদিন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ছিলেন, তাঁকেই নতুন কমিটিতে কোনও পদ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে কোনো বড় পদ না পেলেও গত লোকসভা ভোটে মুকুল রায়কে দলের নীতি নির্ধারণ এবং প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর হাত ধরেই বহু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভায় সেইসময় সাফল্যও পেয়েছিল বিজেপি। যদিও তারপর থেকে এতদিন পর্যন্ত বাংলার রাজনীতিতে তাঁকে কোনো বড় কোনও পদে দেখা যায়নি, তবুও তার মধ্যেই মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষের সংঘাত নিয়েও সামনে আসে অনেক তথ্য। অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষকে বেছে নেওয়ার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় স্তরে কোনও পদ দেওয়া হতে পারে। আর সেই সম্ভাবনা মতই প্রাক্তন রেলমন্ত্রীকে দলের সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে। তাই এর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।