এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সভাপতি থেকে শুরু করে সাংসদ-বিধায়ক, দিলীপ ঘোষের বৈঠকে অনুপস্থিত একঝাঁক নেতা! জল্পনা তুঙ্গে!

সভাপতি থেকে শুরু করে সাংসদ-বিধায়ক, দিলীপ ঘোষের বৈঠকে অনুপস্থিত একঝাঁক নেতা! জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার জল্পনা বাড়িয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কার্যকারিনীর বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল একঝাঁক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে দলীয় নেতাদের। যেখানে স্বয়ং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৈঠক করলেও, সেখানে সভাপতি থেকে শুরু করে সাংসদ এবং বিধায়কদের অনুপস্থিতি এখন ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। যেখানে স্বয়ং রাজ্য সভাপতি বৈঠকে উপস্থিত, সেখানে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার 3 বিজেপি বিধায়ক, এক সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং স্বয়ং জেলা সভাপতি কেন অনুপস্থিত? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

সূত্রের খবর, রবিবার জেলা বিজেপির কার্যকারী নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। পাশাপাশি এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়া বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শুধু তাই নয়, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মনস্পতি দেব এবং সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডলকেও এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়। আর এখানেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এই সমস্ত নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা অন্য কিছু ভাবতে শুরু করেছেন? তাহলে কি তারা ভবিষ্যতে অন্য কোনো শিবিরে নাম লেখাতে পারেন? সেই কারণে তারা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক উপস্থিত হলেন না! এখন তা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক অশোক কৃত্তনীয়া বলেন, “আমার জ্বর এসেছে শরীরটা ভাল নেই। তাই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারিনি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে আর এক বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “শুক্রবার বিধানসভায় এসেছিলাম। তারপর ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় থেকে যেতে হয়েছে। তাই বৈঠকে যোগ দিতে পারিনি।” তবে সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া বনগাঁর সংসদ শান্তনু ঠাকুর কেন বৈঠকে অনুপস্থিত? একাংশ বলছেন, মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে দিল্লি থাকতে হয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই এর সঙ্গে জল্পনা তৈরি করা বৃথা।

কিন্তু এতজন নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা যখন বৈঠকে অনুপস্থিত, তখন তা নিয়ে তো চর্চা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাহলে কি এদের নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে নেই বিজেপি? এদিন এই প্রসঙ্গে নবদ্দীপ জোনের বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অভিজিৎ দাস বলেন, “করোনা আবহে অনেকে অসুস্থ। কেউ ব্যক্তিগত কাজেও যেতে পারেন। সেই কারণে তারা আসতে পারেননি। বিষয়টিকে জটিল ভাবে দেখার প্রয়োজন নেই।”

অর্থাৎ বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ, এমনকি দলীয় সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা দলের বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও, গোটা বিষয়টিকে হালকাভাবেই দেখতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা নেতৃত্ব। তবে গুরুত্বপূর্ণ নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের এই অনুপস্থিতি আগামী দিনে বিজেপির চাপ বৃদ্ধি করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!