এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BREAKING NEWS – রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় পরিবর্তন! মুকুল-দিলীপ সহ কার কি দায়িত্ব জানুন বিস্তারিত

BREAKING NEWS – রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় পরিবর্তন! মুকুল-দিলীপ সহ কার কি দায়িত্ব জানুন বিস্তারিত

দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে – এবার নাকি রাজ্য কমিটিতে বড়বার পরিবর্তন হবে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, পুজোর পরেই সেই পরিবর্তন হতে চলেছে। কিন্তু, এর মাঝেই রাজ্যের ৩ আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায়, আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু, সেই উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেলেই, যে কোন দিন বিজেপির এই পরিবর্তন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক কি সাম্ভাব্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে –

১. দিলীপ ঘোষ – বর্তমান বিজেপি রাজ্য সভাপতি বারেবারেই বিতর্কিত মন্তব্য করে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। কিন্তু তাঁর সভাপতিত্বেই রাজ্যে বিধানসভা-পঞ্চায়েত হয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দুর্দান্ত ফলাফল করেছে। ফলে, তাঁকে আপাতত সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, ৩ আসনের উপনির্বাচনে বিজেপি কাঙ্খিত ফল করতে না পারলে, সভাপতির আসনে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে – সেক্ষেত্রে দিলীপবাবুকে সংসদীয় রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করতে বলা হবে।

২. সুব্রত চট্টোপাধ্যায় – বর্তমান বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক। যা, বিজেপির ক্ষেত্রে সাংগঠনিক দিক থেকে সভাপতির পরেই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ। সুব্রতবাবুকে এই পদ থেকে জাতীয়স্তরে বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ এই পদে নতুন মুখ আসতে চলেছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত।

৩. মুকুল রায় – রাজ্য বিজেপিতে এই মুহূর্তে কোনো পদে না থেকেও, তিনি বঙ্গ-শিবিরের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। প্রথমে শোনা গিয়েছিল মুকুলবাবুকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু, এখনও তিনি সারদা বা নারদ কাণ্ডে ক্লিনচিট পান নি। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আনা হচ্ছে না। তবে তাঁকে জাতীয় সম্পাদক পদে নিযুক্ত করে বাংলার সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এমনিতেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে তাঁর রসায়ন বেশ ভালো। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম ‘কি-পার্সন’ হয়ে উঠতে চলেছেন তিনি।

৪. স্বপন দাশগুপ্ত – বিজেপির রাজ্যসভার এই সাংসদ আসন্ন রদবদলে বঙ্গ-বিজেপিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে চলেছেন। যদি, দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সরাসরি রাজ্য সভাপতি হয়ে যেতে পারেন তিনি। আর যদি দিলীপবাবু থেকেও যান – তাহলেও অন্যতম ‘ডিসিশন মেকার’ হয়ে উঠতে চলেছেন তিনি। এমনিতেই তিনি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের অত্যন্ত আস্থাভাজন, ফলে বাংলায় তিনি অন্যতম ‘শেষকথা’ বলার জায়গায় থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৫. বিধান কর – নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই সংগঠকই খুব সম্ভবত বঙ্গ-বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, সংগঠন পদে বসতে চলেছেন। নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, তখন তিনি মোদী ও সঙ্ঘের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করেছেন। ফলে, তখন থেকেই মোদীর সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক। আর তাই, এবার বঙ্গ-বিজেপির অন্যতম গুরু দায়িত্বে আসতে চলেছেন তিনি।

৬. জিষ্ণু বসু – বঙ্গ-বিজেপির রসায়ন যে দিকে এগোচ্ছে তাতে জিষ্ণু বসু অথবা স্বপন দাশগুপ্ত – কেউ একজন মুখ্যমন্ত্রী মুখ হয়ে যেতে পারেন, যদি না এঁদের থেকেও হেভিওয়েট সেলিব্রিটি কাউকে বিজেপি রাজি করিয়ে ফেলে। আর তাই আসন্ন রদবদলে সঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ নেতা জিষ্ণু বসুকে রাজ্য কমিটিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে। এমনকি, তাঁকে কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ সেক্ষত্রে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হওয়া তাঁর নিশ্চিত হয়ে যাবে বলেই গেরুয়া শিবিরের আভ্যন্তরীন মহল জানাচ্ছে।

৭. রন্তিদেব সেনগুপ্ত – মোহন ভাগবতের অত্যন্ত স্নেহধন্য দাপুটে এই সাংবাদিক এবার বাংলায় বিজেপির রাজ্য কমিটিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাবেন বলে জানা যাচ্ছে। চার সাধারণ সম্পাদকের অন্যতম হতে চলেছেন তিনি। এছাড়াও বুদ্ধিজীবী ও সেলিব্রিটি সেলের অন্যতম বিশেষ দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়তে চলেছে। তবে কেউ কেউ জানাচ্ছেন, জিষ্ণু বসু সভাপতি হলে, রন্তিদেববাবুকে কার্যকরী সভাপতি করা হতে পারে। সেক্ষত্রে বিজেপি ক্ষমতায় এলে, জিষ্ণু বসুকে মুখ্যমন্ত্রীত্ব দিয়ে, রন্তিদেব সেনগুপ্তকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি করা হতে পারে।

৮. দেবজিৎ সরকার – বর্তমান যুব সভাপতিকে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে আসা প্রায় চূড়ান্ত। শোনা যাচ্ছে তিনি নিজে সাধারণ সম্পাদক হতে চাইলেও, তাঁকে খুব সম্ভবত সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হবে, তার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বও পেতে চলেছেন তিনি বলে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে জল্পনা চলছে।

বিজেপির বর্তমান রাজ্য-মন্ডলীর অনেকেই সাংসদ। ফলে, তাঁদের সংসদীয় রাজনীতিতে বিশেষ মনোনিবেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্তরে বাংলায় তৃণমূলের অবস্থান আরও বেশি করে তুলে আনার জন্যই তা করা হবে বলে জানা গেছে। ফলে, মিশন-২০২১-এর লক্ষ্যে এখন থেকেই কোর টীম সাজিয়ে নিতে চাইছেন অমিত শাহ নিজে। আর তাই এই বড়সড় রদবদলের জল্পনা শোনা যাচ্ছে। যদিও, এই নিয়ে বিজেপির তরফে কেউ সরকারিভাবে মুখ খুলতে রাজি নন। তবে, মুরলীধর সেন লেনের অন্দরমহলে কান পাতলে, আসন্ন পরিবর্তনের জল্পনা গমগম করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!