এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে সদস্য ফর্ম চুরি হয়ে যাওয়া নিয়ে উত্তাল গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল!

সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে সদস্য ফর্ম চুরি হয়ে যাওয়া নিয়ে উত্তাল গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল!


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও চমকপ্রদ ফল করার পর, সাধারণ মানুষের গেরুয়া শিবির নিয়ে উৎসাহ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যে গেরুয়া শিবির এতদিন বাংলায় সাধারণ ফোর্থ বয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকত, তারাই এবার নবান্নের কুর্শি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর স্বাভাবিকভাবেই, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির জোর দিয়েছে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে। আর তাই নিজেদের সাংগঠনিক বিন্যাস সুস্পষ্ট করতে গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরে নির্বাচন আসন্ন।

তবে এর মধ্যেই ঘটেছে এক অস্বাভাবিক ঘটনা। বিজেপি সদস্য সংগ্রহের অভিযান পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলায় চলছে, চলছে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরেও। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সেখানে ইতিমধ্যেই তাদের সদস্য সংখ্যা সোয়া তিন লাখ অতিক্রম করে গেছে। কিন্তু এরই মধ্যে কৃষ্ণনগর শহরের বিজেপি অফিস থেকে বিজেপির সদস্য ফর্ম চুরি হয়ে গেল! যা নিয়ে কৃষ্ণনগরের বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত উত্তেজনা। প্রসঙ্গত, আগামী দিনের বিজেপি সাংগঠনিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদস্য সংগ্রহ শেষ হয়েছে 20 আগস্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পর মূলত ফর্ম ঝাড়াই-বাছাই চলছিল। যেখান থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে নতুন নেতানেত্রী নির্বাচিত হবেন। তাই এই চুরির ঘটনায় বিজেপি শিবিরের অন্দরেই দুই গোষ্ঠীর দুই রকম মতামত পাওয়া যাচ্ছে। কৃষ্ণনগরের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করেছে। কিন্তু বিজেপির অন্য গোষ্ঠী তা মানতে চাইছে না। তাদের দাবি, বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে এই চুরি ঘটিয়েছে। কেননা এই চুরির ফলে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতানেত্রীরা সাংগঠনিক নির্বাচনে আর কার্যত অংশ নিতে পারবেন না। ফলে সহজেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রীরা আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসবেন।

জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে দলীয় কার্যালয়ে কম্পিউটার রুম থেকে দলের সদস্য ফর্ম-এর বই চুরি হয়ে যায়‌। প্রশ্ন উঠছে, দলীয় কার্যালয় থেকে কিভাবে চুরি হয়? কে বা কারা জড়িত এই চুরির সাথে? মনে করা হচ্ছে, 11 ই সেপ্টেম্বর থেকে সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে সদস্য ফর্ম-এর বই থেকে সদস্যদের নাম যাতে তুলতে না পারা যায়, তার জন্যই এই চুরি ঘটেছে। এদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপির নদীয়া-উত্তর জেলার সভাপতি মহাদেব সরকার জানিয়েছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহ হবে। বর্তমানে সদস্য ফর্মের দু-হাজার পাতা চুরি হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সদস্যদের নামগুলি ইতিমধ্যেই কম্পিউটারে তোলা হয়ে থাকলে, ফের ওই এলাকায় গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে না। তবে এর ফলে কোনও অসুবিধা নেই। আর আমাদের সাংগঠনিক নির্বাচন সহমতের ভিত্তিতে হবে। তবে এই ঘটনায় বিজেপির অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে তা প্রকাশ হয়ে পড়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এখন এই চুরির ঘটনাটিকে বিজেপি নেতৃত্ব কিভাবে সামাল দেয় সেটাই দেখার। তবে সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসাতে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের অস্বস্তি স্পষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!