এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > কবে পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাক্সিন! WHO – এর দাবি ঘিরে মাথায় হাত বিশ্বর!

কবে পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাক্সিন! WHO – এর দাবি ঘিরে মাথায় হাত বিশ্বর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারাবিশ্ব এমনিতেই করোনার তাণ্ডবে হাহাকার করছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা সংক্রামিত হয়ে মারা যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজন প্রতিষেধক বা ওষুধের। যার কোনোটিই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ দাবি করেছে, করোনার ভ্যাক্সিন তৈরি হতে আর বেশী দেরী নেই। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যেভাবে বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক ও গবেষকরা করোনার ভ্যাক্সিন তৈরিতে মনোনিবেশ করেছেন, তাতে যেকোনো দিন যেকোনো মুহূর্তে করোনার ভ্যাকসিন এসে যাবে হাতের মুঠোয়।

কিন্তু কবে আসবে সেই নিয়েই এখন চলছে বিতর্ক। প্রত্যেকেই চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনার ভ্যাকসিন যাতে কার্যকরী হয় এবং সাধারণ মানুষের হাতে আসে। কিন্তু বিভিন্ন দেশ করোনার ভ্যাকসিন তাড়াতাড়ি আসবে বলে দাবি জানালেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, করোনার ভ্যাকসিন 2021 এর আগে হাতে পাওয়া সম্ভব নয়। বেশ কয়েকদিন ধরে নভেম্বর মাসে করোনার ভ্যাকসিন হাতে আসার ব্যাপারে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল।

কিন্তু সমস্ত আলোচনায় জল ঢেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, 2021 এর শুরুর দিকে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসলেও আসতে পারে, কিন্তু তার আগে সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী বিভাগের কর্তা মাইক রায়ান জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে করোনার ভ্যাকসিনের অগ্রগতি বেশ ভালো দিকেই এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এবং সুরক্ষার দিক থেকেই তারা যথেষ্ট কার্যকর।

তবে বাস্তবসম্মতভাবে দেখতে গেলে আগামী বছরের আগে সাধারণ মানুষ এই টিকা ব্যবহার করতে পারবেননা। তবে এই দীর্ঘ দিন অপেক্ষার কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তাঁরা শুধুমাত্র করোনার ভ্যাকসিন যাতে সমহারে দরিদ্র, ধনী সবার মধ্যে বন্টন হয়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে চাইছেন। অন্যদিকে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে আমেরিকা ইতিমধ্যে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মনে করা হচ্ছে, মার্কিন দেশের এই অপচেষ্টাকে আটকানোর জন্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের করোনা আতঙ্ক যখন মাত্রাছাড়া, তখনই আশার খবর জাগিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাকসিন। সূত্রের খবর, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ট্রায়াল সফলতা পেয়েছে। আপাতত এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পরীক্ষার ফলের অপেক্ষা করা হচ্ছে। এই দুই ট্রায়ালে যদি সফলতা পায় এই ভ্যাকসিন, তাহলে এই ভ্যাকসিন বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট প্রস্তুত করা শুরু করবে বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যার ফলে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এবং তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে নভেম্বর মাসেই ভারতের বাজারে 30 থেকে 40 লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ আসতে চলেছে। একথা জানিয়েছেন স্বয়ং সেরাম ইনস্টিটিউট এর কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতে কিন্তু ভারতের বাজারে আসতে চলেছে 30 থেকে 40 কোটি করোনার টিকা।

অন্যদিকে নভেম্বর মাসে ভ্যাকসিন বাজারে আসলেও তা সমস্ত মানুষের মধ্যে সমানভাবে বন্টন হবে কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি একের পর এক ধাপ পেরিয়ে চলেছে তাতে সাধারণের হাতে করোনার ভ্যাকসিন আসা এখন সময়ের অপেক্ষা। এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে এরকম বহু মারণ রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে লেগেছে বহুবছর। সেক্ষেত্রে করোনার মত মারণ রোগেরর ভ্যাকসিন এত তাড়াতাড়ি আবিষ্কার হওয়ার ফলে তৈরি হবে ইতিহাস। আপাতত সাধারণ মানুষ এসব হিসাব না দেখে শুধুমাত্র করোনার হাত থেকে বাঁচার আশায় তাকিয়ে রয়েছে ভ্যাকসিনের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!