শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মালা পরিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তীব্র করলেন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী রাজ্য হাওড়া-হুগলি July 7, 2018 একদিকে যখন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তী পালন নিয়ে তীব্র শোরগোল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে, অন্যদিকে তখন তাঁর মূর্তিতে মালা চড়িয়ে জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রী। গতকাল গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যজুড়েও জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১১৮ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল। স্বাভাবিকভাবেই জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতার জন্মজয়ন্তী পালন নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল গেরুয়া শিবিরের। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর যখন রাজ্য-রাজনীতিতে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে প্রবলভাবে উঠে আসছে বিজেপি শিবির, তখন তাঁদের দলের প্রাণপুরুষকে নিয়ে মাতামাতিটা স্বাভাবিকভাবেই ছিল তাদের তরফেই বেশি। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিন্তু এর মাঝেই জল্পনা বাড়িয়ে, হাওড়ায় ডঃ শ্যামাপ্রসাদের মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ রায়। তবে শুধু মন্ত্রীর মাল্যদানই নয়, সমগ্র অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। যদিও এই অনুষ্ঠানে গেরুয়া সমর্থকদের সেভাবে দেখতে পাওয়া যায় নি। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের প্রাণপুরুষকে নিয়ে শাসকদলের এই অনুষ্ঠান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, বিশেষ করে শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিবসেও তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান নিয়ে যেখানে চূড়ান্ত বিতর্ক হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের যে মূর্তিতে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মালা দিয়েছিলেন, সেই মূর্তিটি গঙ্গা জলে ধুয়ে শোধন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলও পাল্টা দিয়েছিল সেই বিতর্কে – কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা রাজ্যজুড়ে বিজেপিকে একটুও জমি না ছাড়তে তাদের প্রাণপুরুষের অনুষ্ঠানে এইভাবে ভাগ বসাতে চাইছে শাসকদল। অন্যদিকে শাসকদলের দাবি – মনীষীদের স্মরণ অনুষ্ঠানে কোনো দলমত দেখে না তৃণমূল কংগ্রেস। সবমিলিয়ে মন্ত্রীর মাল্যদান ঘিরে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নতুন জল্পনা শুরু হল বাংলার বুকে। আপনার মতামত জানান -