এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে সরব দলেরই যুবনেতা! তীব্র শোরগোল তৃনমূলে

এবার রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে সরব দলেরই যুবনেতা! তীব্র শোরগোল তৃনমূলে


তৃণমূলের অন্দর রাজনীতিতে ব্যক্তিত্বদের মধ্যে বিরোধ নতুন কিছু নয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট নেতা তৃণমূলের জন্মলগ্নের সৈনিক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন মন্ত্রী দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দেব আগাগোড়াই অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি বহুবার দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার পালন করেছেন। আর এবার সেই গৌতমবাবুর পদত্যাগের দাবিতে সরব হলেন তৃণমূলের এক যুবনেতা। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও রীতিমত জল্পনা ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি 36 নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে সেই পোস্টে দাবি করা হয়, শিলিগুড়িতে নির্বাচনে বারবার হারছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার কারণ হিসাবে সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং নেতৃত্বের অযোগ্যতাকে দায়ী করা হয় এবং বলা হয় গৌতম দেবের উচিত দলের জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া। যদি নেতৃত্বের বদল না হয়, তাহলে শিলিগুড়িতে দল কোনোদিন জিততে পারবে না। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে কথাটাকে একটুখানিও অন্যরকমভাবে পরিবেশন করেন রঞ্জিতবাবু।

তখন তিনি বলেন, “গৌতমবাবু প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলাতে সদা ব্যস্ত থাকেন। যার কারণে তিনি দলে সময় দিতে পারছেন না। এই বিষয়গুলি বহুবার দলের জেলা নেতাদের জানানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে এই ব্যাপারে সাড়া না মেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি।”

কিন্তু দলের অন্দরে জেলা সভাপতি এরকম ধরনের পোস্ট যে তৃণমূল কংগ্রেসকে অচিরেই বিতর্কের মুখে ফেলতে পারে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত প্রায় সকলেই। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “এটা দলীয় বিষয়। এই ব্যাপারে দলের মধ্যে আলোচনা করব। এর বাইরে কিছু বলব না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিকাশ সরকারের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি এনজিপি এলাকায় পোস্টার পড়ে। আর সেই ঘটনার জেরে এদিনই শহরের 21 নম্বর ওয়ার্ডে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি স্থগিত হয়ে যায়।

বস্তুত, স্থানীয় যুব সংগঠনের দ্বারাই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতাকর্মীদের বক্তব্য, সংগঠনের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে নিয়ে কেবল কর্মসূচি করা সম্ভব নয়। কারণ তাকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা নানান প্রশ্ন তুলতে পারে। তাই তাকে বাদ দিয়ে পরবর্তীতে এই কর্মসূচি পালন করতে হবে। এই বিষয়টি জেলা যুব নেতাদেরকে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে আবার 20 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি আচমকা ইস্তফা দিয়ে দেওয়াতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। এই বিষয়ে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ 7 বছর ধরে পদত্যাগকারী ওয়ার্ড সভাপতি ওই পদের দায়িত্বভারে ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে সেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “অসুস্থতার কারণে ওই পদ ছেড়ে দিয়েছি।” গোটা বিষয়টি নিয়ে 2 নম্বর টাউন কমিটির সভাপতি দেবব্রত দত্ত বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে বিস্তারিতভাবে ঘটনার বিবরণ জানানো হয়েছে।”

কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দলীয় নেতৃত্বের পারদর্শিতাকে কেন্দ্র করে যেভাবে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে, তাতে করে আগামী দিনে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সফর যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে পারে। তাই এই সমস্যাকে কিভাবে কঠোর হাতে সামলাতে পারেন জেলা নেতৃত্ব! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!