এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় বিজেপির রথযাত্রা আটকাতে ‘মাস্টারের’ ইচ্ছাতে ভুয়ো রিপোর্ট আদালতে? ‘স্টিং অপারেশনে’ বেরোল বিস্ফোরক তথ্য

বাংলায় বিজেপির রথযাত্রা আটকাতে ‘মাস্টারের’ ইচ্ছাতে ভুয়ো রিপোর্ট আদালতে? ‘স্টিং অপারেশনে’ বেরোল বিস্ফোরক তথ্য


বাংলায় গেরুয়া প্রভাব বিস্তারে বিজেপি মনেপ্রাণে চেয়েছিল রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে তিনটি রথযাত্রা বের করতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় দলের প্রভাব বিস্তারে ৭ ই ডিসেম্বর কোচবিহার, ৯ ই ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর ও ১৪ ই ডিসেম্বর বীরভূমের তারাপীঠ থেকে রথের রশি টানার প্রস্তুতি নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সব আয়োজন যখন সম্পন্ন, তখনই হঠাৎ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিপর্যস্ত হতে পারে বলে বেঁকে বসে রাজ্য প্রশাসন।

ফলে, বিজেপি ও রাজ্য সরকারের সংঘাত গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এমনকি, লড়াই চলে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত – কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার যখন জানাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বিপর্যস্ত হতে পারে, তখন রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই এই রায় জানার পর উল্লাসে ফেটে পরে তৃণমূল শিবির। আর রায়ের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল রাজ্যের গোয়েন্দা রিপোর্টের। যে রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজ্য সরকার আদালতে দাঁড়িয়ে আইনশঙ্খলা অবনতির অভিযোগ নিয়ে আসে এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আদালত বিজেপিকে রথযাত্রার অনুমতি দেয় না।

কিন্তু সেই গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়েই এবার বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল রাজ্য বিজেপি এবং এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ রাজ্যের চার গোয়েন্দা আধিকারিকের উপর এই স্টিং অপারেশন চালায়, যাঁদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বাতিল হয়ে যায় রাজ্যে বিজেপির রথযাত্রা। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। ওই ভিডিও অনুযায়ী, বাঁকুড়ার জেলার গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক জেপি সিং স্বীকার করেছেন, উপরতলার নির্দেশেই রিপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই স্টিং অনুযায়ী, এমনকি দাঙ্গা লাগতে পারত কি প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, এমন কোনও তথ্য ছিল না, নিরাপত্তা চাইলে দিতে পারতাম। ‘মাস্টার’ একজনই, তাঁর ইচ্ছাতেই রিপোর্ট পাঠিয়ে ছিলাম। অন্যদিকে, ওই স্টিং অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমানের এসিপি বাপ্পাদিত্য ঘোষ বলেছেন, ধর্মীয় উস্কানি চালাচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি। তবে রাজনৈতিক চাপেই রিপোর্ট দিতে হয়েছে, নতুন কোনও তথ্য ছিল না। পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি এসপি মধুপচন্দ্র দাস জানিয়েছেন যে তাঁর কাছে কোনও তথ্য ছিল না। এমনকি হাওড়া গ্রামীণের পুলিস আধিকারিক অমরজিতের কথায়, কোনও আশঙ্কা ছিল না, নতুন কোনও গোয়েন্দা তথ্যও আসেনি।

এই পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল সিনহা জানান, চারটি জেলাতেই আধিকারিকদের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল, রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হত না। নবান্নতে সঙ্গীদের নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, জালিয়াত মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। একইসঙ্গে, এর বিরুদ্ধে আইনি পথেই ব্যবস্থা নেব। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র – প্রচার চালানোর জন্য ৪,০০০ কোটি টাকা ঢেলেছে বিজেপি। যদিও এই স্টিং অপারেশনের ভিডিওর সত্যতা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি – এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে লেখা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!