প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বর্তমানে তৃণমূলের সম্পর্ক যে সমস্যার মধ্য দিয়ে চলেছে সে কথা কারোর অজানা নয়। ইতিমধ্যেই তাঁর দল ছাড়ার সম্ভাবনাও প্রবল হয়ে উঠেছে। ফলত তাঁকে নিজেদের দলে নেওয়ার জন্য বিরোধীরা যে ঝাঁপিয়ে পড়বে সে কথা বলাই বাহুল্য। দেখতে গেলে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবেই পরিচিত।

দলের জন্মলগ্ন থেকে দলকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে বিধানসভা ভোট আসন্ন, এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে নিজের দলে নেওয়ার জন্য বিরোধীরা যে উঠেপড়ে লাগবে সেটাই স্বাভাবিক। আর তাই শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেদের দলে যোগদান করার জন্য বলতে দেখা গিয়েছিল সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিকে।

বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলে বিজেপি বড় রকমের ছক সাজাচ্ছে তেমনটাই বলেছিলেন কূটনৈতিকরা। এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের দলে নিলে বাংলায় শাসনভার তাদের দখলে চলে আসার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে সে কথাই মনে করেছিলেন অনেকে। আর তাই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাঁকে নিজের দলে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তবে এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি দলে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানাতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পালকে। এদিন দুর্গাপুরের বিজেপির কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আহ্বান জানাতে দেখা গেছে তাঁকে। আর এখানেই তৃণমূল পাল্টা জবাব দিয়েছে যে, বিজেপিতে কি নেতা কম পড়েছে? বস্তুত, তৃণমূলকে বাদ দিয়ে কেবলমাত্র দাদার অনুগামী নামে জেলায় জেলায় পোস্টার পড়া থেকে তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দ্বন্দ্বের প্রকাশ পায়।

যদিও এর আগে তৃণমূলের কোনো কর্মসূচিতে না আসা এবং দলের ব্যানার ছাড়া অন্য ব্যানারের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে তাঁর তৃণমূলের ওপর ক্ষোভ রয়েছে এমনটা আশঙ্কা করেছিলেন অনেক কূটনৈতিকই। কিন্তু এই ঘটনার পর তা স্পষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে সম্প্রতি রামনগরে শুভেন্দু অধিকারী সমবায় সমিতির সভা থেকে বার্তা দিয়েছেন যে ‘আমি এখনও একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমায় তাড়াননি আমিও ছাড়িনি।’

আর এরপরই সমস্ত হিসেব থমকে গেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে এতদিন মনে করা হচ্ছিল, শুভেন্দুর দলছাড়ার বিষয়টা মোটামুটি পাকা হয়ে গেছে, সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর এই কথায় আবারও নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তার মাঝে আবার বিজেপির রাজ্যে মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পলের এমন কথায় জল্পনাই খুঁজে পেয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।