এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপির একচালেই হবে বাজিমাত? উল্টে যাবে মমতা-অভিষেকের সব হিসেব? শুরু জল্পনা

শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপির একচালেই হবে বাজিমাত? উল্টে যাবে মমতা-অভিষেকের সব হিসেব? শুরু জল্পনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব যে এখন কয়েক যোজন বেড়ে গেছে তা নিয়ে বলার কিছুই নেই। এবং এই দূরত্ব দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব আপাতত মেটার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রাথমিকভাবে অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব মেটাতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কালক্রমে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীর সাথে আলোচনায় বসেও তৃণমূল নেতারা ব্যর্থ হলেন। তৃণমূল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন শুভেন্দু। যদিও এখনো পর্যন্ত তিনি তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করেননি। এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি নেমেছে আসরে।

একুশের বিধানসভার নির্বাচন জিততে এই মুহূর্তে মরিয়া গেরুয়া শিবির।রাজ্য বিজেপি নেতাদের সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা এই মুহূর্তে বাংলা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে দায়িত্ব নিয়েছেন 5 কেন্দ্রীয় নেতা। তবে বিজেপির কাছে প্রধান বাধা মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই দু’জনকে কোণঠাসা করতে বিজেপি নিত্য নতুন চিন্তা ভাবনা চালাচ্ছে। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের বেড়ে চলা দূরত্ব নিয়েও বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুভেন্দুকে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর। কিন্তু এবার শুভেন্দু অধিকারী কোথায় যাবেন, তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এমন একটি তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে যেখানে মনে হচ্ছে শুভেন্দুকে নিয়ে যদি বিজেপি এরকম একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে চাপে ফেলা যাবে। তৃণমূলকে সহজেই মাত দেওয়া যাবে। লাখ টাকার প্রশ্ন হলো, কি সেই সিদ্ধান্ত? যা নিলে শুভেন্দু অধিকারীকেও খুশি করা যাবে, আবার গেরুয়া শিবিরের বড় সমস্যার সমাধান হবে। সিদ্ধান্তটি হলো, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলার মসনদ দখলের উদ্দেশ্যে নামলেও এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরে কোন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই। বলা হচ্ছে, ভোটে জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী ঠিক হবে গেরুয়া শিবিরের।

কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবির যাই বলুক না কেন এই বিষয়ে কিন্তু রাজ্য বিজেপি নেতারা কিছুটা যে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন সেকথা অনস্বীকার্য। আর সেখানেই যদি শুভেন্দু অধিকারীকে একুশের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করা যায়, তাহলে হয়তো অনেকটাই কাজ সহজ হয়ে যাবে গেরুয়া শিবিরের বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটা এখনো ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী সবকিছু ভেবেচিন্তেই আগামী 6 ডিসেম্বর সাংবাদিক বৈঠকে সব কথা জানাবেন। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মুখ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী যে অন্যতম, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতনই শুভেন্দু অধিকারীও একজন দক্ষ সাংগঠনিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যদি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আসা যায় তাহলে লড়াই জমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে যদি এরকম কোন প্রস্তাব গেরুয়া শিবির থেকে দেওয়া হয়, তবে শুভেন্দু কিন্তু বিজেপির দিকে পা বাড়াতেও পারেন। অনেকেই মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারীর মতন একজন আদর্শ জননেতা এবং দক্ষ সংগঠককে কিন্তু তৃণমূল সেভাবে কাজে লাগায়নি। তাঁর তুলনায় অনেক কম দক্ষ নেতা এই মুহূর্তে তৃণমূলের শীর্ষস্থানে রয়েছেন। আর তাই মনে করা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী শেষ পর্যন্ত আদর্শগত প্রতিবাদের রাস্তা নিয়েছেন।

এই অবস্থায় এখন নজর শুভেন্দু অধিকারী কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন আগামী দিনে, তার ওপর। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর রাজনৈতিক মতামত এখনো জানাননি তবে তিনি যে তৃণমূলে থাকছেন না, সে ইঙ্গিত তিনি দিয়ে দিয়েছেন। আপাতত দেখার, শুভেন্দু অধিকারী কি বিজেপিতে যোগদান করেন নাকি নিজের দল তৈরি করে রাজনৈতিক ময়দানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে নামেন! তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যদি নিজের দল তৈরী করেন, তাহলে তাঁর কাছে সমস্ত সম্ভাবনাই খোলা থাকবে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্বের সম্ভাবনা ঝেড়ে ফেলা যায় না। তবে সব মিলিয়ে নজর এখন শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠক এর দিকে।

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী 7 ডিসেম্বর মেদিনীপুরে যাচ্ছেন সভা করতে। আর তার আগেই 6 ই ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন সাংবাদিকদের সামনে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার রাজনীতি যে এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনার প্রহর গুনছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে শুভেন্দুকে বিজেপিতে টানতে এই মুহূর্তে আগ্রহী বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তবে বঙ্গ বিজেপির নেতারা শুভেন্দু সম্পর্কে উৎসাহ দেখালেও কেন্দ্রীয় বিজেপি থেকে এখনো পর্যন্ত কোন রকম প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে নজর শুভেন্দু অধিকারী কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তার ওপর।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!