কাটমানি ও অবৈধ বালি খাদান নিয়ে এ কি বললেন শুভেন্দু অধিকারী! জেনে নিন পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য August 14, 2019 সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল রাজ্যের 42 টি লোকসভা আসন এর মধ্যে 22 টি আসন পাওয়ার পরই কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল তৃনমূল। তবে দুর্নীতি যে দলের অনেকাংশেই বাসা বেধেছে, তা আঁচ করতে পেরে কোনো দুর্নীতির সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের যুক্ত থাকা যাবে না বলে জানিয়ে গিয়েছিলেন তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শীর্ষস্তর থেকে এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশনামা জারি করলেও বিভিন্ন জায়গায় তা অমান্য করে অনেক তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। যাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গোটা তৃণমূল পরিবারকে। আর দুই একজনের জন্য যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়, সেই ব্যাপারে এবার সকলকে সতর্ক করে দিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেডিয়ামে তৃণমূলের একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহ সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল, বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি সহ অন্যান্যরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এইমঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতীমতো সকলকে সতর্ক করে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুই একজন নেতা দলের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে অবৈধ বালি খাদানে যুক্ত হয়েছেন। মালের দায়িত্ব আরোহীর, দল তাদের কোনো দায়িত্ব নেবে না। খারাপ কাজ যারা করে, তাদের সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই। কারণ ওই অর্থ তৃণমূল নেয় না। তবে যারা 34 বছর ধরে সিপিএমের অত্যাচার সহ্য করেছে, দল তাদের পাশে সব সময় থাকবে।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই কথাতেই স্পষ্ট যে তৃণমূলে এখনও দুর্নীতি রয়েছে এবং এই দুর্নীতির জন্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। আর তাই তো এবার কোমর বেঁধে নেমে এই ব্যাপারে সকলকে কড়া হুশিয়ারি দিতে বাধ্য হলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। অন্যদিকে এদিন সিপিএমের অমিয় পাত্র এবং মনোরঞ্জন পাত্রের নাম করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “2011 সালে এদের নেতৃত্বেই কিছু লোক জেলার বিভিন্ন অংশে ধারাবাহিক অত্যাচার চালিয়েছে। আর তারাই এখন লাল জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পুরে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমি এই অশান্তি থামাতে স্পেশালিস্ট। 90% শান্তি থেমে গিয়েছে। বাকিটাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।” এদিকে সিপিএমকে কটাক্ষ করার পর সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টা আসন পেলেও তাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃনমূলের শুভেন্দু অধিকারী। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওরা 18 টা আসন পেয়ে দুটো হাফপ্যান্ট মন্ত্রী দিয়েছে। এদের কারও পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই।” আর এরপরই বাঁকুড়া জেলার 2 বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার ও সৌমিত্র খাঁকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে আমাদের সরকার, আমরা উন্নয়ন করব। আর সুভাষ ও সৌমিত্রবাবু দিল্লি থেকে উন্নয়ন আনুন। দুটোর উন্নয়নের লড়াই হোক। যে বেশি উন্নয়ন করতে পারবে, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ তাকেই ভোট দেবেন।” সব মিলিয়ে একদিকে দলের নেতাকর্মীদের একাংশ দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে তাদের সতর্কবার্তা, আর অন্যদিকে বিরোধীদলকে কটাক্ষ করে ফের শোরগোল তুলে দিলেন তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী। আপনার মতামত জানান -