এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > দলীয় কর্মসূচিতে নেই শুভেন্দু! দলবদলের জল্পনা উঠতেই ফের কর্মসূচিতে!

দলীয় কর্মসূচিতে নেই শুভেন্দু! দলবদলের জল্পনা উঠতেই ফের কর্মসূচিতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি নিয়ে কোনোকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিন্তা করতে হয়নি। প্রথমে শিশির অধিকারী এই জেলা সামলালেও পরবর্তীতে নন্দের আলয়ে যেমন কৃষ্ণ ধীরে ধীরে বেড়েছে, ঠিক তেমনই অধিকারী পরিবারে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতার উত্থান ঘটেছে। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে গা-ছাড়া এবং গুরুত্বপূর্ণ মনোভাব দেখা দিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর।

সেভাবে দলের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। সমবায় ব্যাংক বা ক্লাবের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকলেও, তৃণমূলের “বাংলার গর্ব মমতা” বা “দিদিকে বলো” কোনো কর্মসূচিতে যোগ দেননি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। যার ফলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছিল তৃণমূলের অন্দরমহলে। গোটা রাজনৈতিক মহলে পড়ে গিয়েছিল আলোড়ন। তাহলে কি এবার দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন তৃণমূলের একদম প্রথম সারির এই শীর্ষনেতা?

কিন্তু তার অবস্থান নিয়ে যখন গোটা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই দলের নির্দেশে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা গেল সেই শুভেন্দু অধিকারীকে। অনেকে বলছেন, তাকে নিয়ে যাতে জল্পনা বৃদ্ধি না পায়, তার জন্যই অবশেষে দলের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হলেন তিনি।

এদিকে এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের অবশ্য দাবি, প্রথম থেকে দলের সঙ্গে থেকেছেন শুভেন্দু বাবু। তাই প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ তিনি মানতে নারাজ। তাই পিকের নির্দেশে যে সমস্ত কর্মসূচি হয়েছে, সেখানে উপস্থিত থাকেননি। কারণ তিনি খুব ভালো মত জানেন, কিভাবে সাংগঠনিক হাল ফেরাতে হয়। তাই কারও উপর ভরসা করে চলেন না শুভেন্দু অধিকারী।

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী যে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশের ফলে চলবেন না, তা কার্যত পরিষ্কার। কিন্তু যেভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দলের নির্দেশের পরে তিনি রাস্তায় নামলেন, তাতেও একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তাকে নিয়ে এবং তার দলবদল নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাকে দমাতেই শুভেন্দু অধিকারী দলের প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে বিজেপি বিরোধিতায় মাঠে নামতে বাধ্য হলেন। যদিও এই ব্যাপারে বিরোধীদের পক্ষ থেকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, “আমপানে ক্ষতিপূরণ নিয়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ করছেন, তাতে এলাকার বিধায়ক শুভেন্দু দায় এড়াতে পারেন না। উনি তৃনমূলেও কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন‌। তাই এখন দলনেত্রীর প্রতি আনুগত্য দেখাতে দলের কর্মসূচিতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।”

তবে শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূলের অনুগত সৈনিক, এদিন নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তা ফের তুলে ধরেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা শুভেন্দুবাবুর পিতা শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বরাবরই দলের বিশ্বস্ত কর্মী এবং নেতা। নেত্রীর প্রতি অনুগত এবং দায়বদ্ধ। আমাদের ও বিরোধীদলের কিছু দুর্বল লোকজন তাকে নিয়ে অপপ্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে।অন্যদিকে, কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর। আর তার জেরে তিনি যে কোনো দিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও বার বার শুভেন্দু অধিকারী ও তার পরিবারের তরফ থেকে এই কথা অস্বীকার করা হয়েছে, কিন্তু জল্পনা থামে নি। তাছাড়া, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন, তাহলে তৃণমূল ভেঙে খান খান হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কি কিছুটা চাপে পড়েই তিনি দলের অনুগত সৈনিক একথা প্রমাণ করতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির বিরুদ্ধে দলের নির্দেশে পথে নামলেন? এখন এই প্রশ্নই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!