এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > শুভেন্দু গড়ে বড়সড় হানা দিলেন দিলীপ ঘোষ ,জেনে নিন

শুভেন্দু গড়ে বড়সড় হানা দিলেন দিলীপ ঘোষ ,জেনে নিন


লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যে অন্যদল থেকে বিজেপিতে যোগদানের সংখ্যা বেড়েছে। শাসকদল তৃণমূল থেকে এই যোগদান যেমন হচ্ছে, যোগদান হচ্ছে বামদলগুলি এবং কংগ্রেস থেকেও।সেই ধারা এখনো অব্যাহত।সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের দাবি মোদী সরকারের উপর ভরসা রেখেই তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।

এদিন সভা থেকে দিলীপবাবু বলেন যে, ‘আমি জঙ্গলমহলের ছেলে।কাউকে ভয় পাই না।আর ছেড়েও কথা বলি না। আপনারা আগে মেরে আসুন, কাউকে ক্ষমা করবেন না। যদি আপনারা সত্যি কারের বাপের ব্যাটা হন তাহলে তা করে দেখাবেন। আর যদি তা না করেন, তাহলে আপনারা বিজেপি করবেন না। আমি স্পষ্ট কথা বলতে ভয় পাই না।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাথেই তৃণমূলকে বিঁধে বলেন যে, ‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিদিমণি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভোট লুঠ, ছাপ্পা, খুন, সন্ত্রাস করে ভোটে জিতেছে। এবার উনি বলেছিলেন বিয়াল্লিশে ৪২। কিন্তু কি হলো উল্টে গিয়ে হয়ে গেল বাইশ। হেরে যাওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন ইভিএম নয় ব্যালট চাই। ইভিএমে হোক আর ব্যালটে হোক ভোটে বিজেপি জিতবেই। বাংলার মানুষ মমতার নাটক বুঝে নিয়েছে। সবতেই নাম পরিবর্তন করে নিজের নামে দিদিমণি চালাচ্ছেন। এ টুকলি আর চলবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠকে মাওবাদী অধ্যুষিত যেখানে সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিয়েছেন।আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়ে সেই বৈঠকে যোগ দেননি। কারন, গেলে তো উনাকে কৈফিয়ত দিতে হবে। এখনও জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরানো হয়নি কেন? যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বছরে ২.৪৭ কোটি টাকা দিচ্ছে। বর্তমানে কোন মাওবাদী-টাওবাদী কিছুই নেই।’

প্রসঙ্গত, দলবদল নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব লাভ দেখলেও, নিচু তলায় দলত্যাগীদের নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। কেননা বিজেপির দলীয় কর্মীদের মতে, যাদের হাতে এককালে মার্ খেয়েছি তাদের সাথেই কাজ করতে হবে এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। ফলে অসন্তোষ বাড়ছে। তবে এই নিয়ে কর্মীদরে ক্ষোভকে কমাতে মাঠে নামছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

অন্যদিকে শুভেন্দু গড়ে এইভাবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হানা দেওয়াকে রাজনৈতিকমহল অতন্ত্য গুরুত্বের সাথেই দেখছেন। বিজেপির দাবি এতে বড়সড় জয় পেলো বিজেপি। অন্যদিকে তাদের দাবিকে মানতে নারাজ তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি ২-৪ জন সুবিধাবাদী গিয়েছে। তারা দলে থাকলে ক্ষতিই হতো। এতে তৃণমূলের ক্ষতি হয়নি লাভই হয়েছে। ফলে জোর বাকবিতন্ডা অব্যাহত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!